ডিসেম্বর ১, ২০২৫ ১১:০৩ পূর্বাহ্ণ

হিন্দু মুসলিম নারী পুরুষের বিয়ের চার বছর পর

আদমদীঘিতে স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পর নিজ বাড়িতে ঢুকতে পারছে না সাবেক স্বামী; সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ

Oplus_16777216
Oplus_16777216

নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী বিয়ে করার পরও বনিবনা না হওয়ায় মুসলিম স্ত্রীকে তালাক দেন হিন্দু ধর্মের স্বামী। অভিযোগ তালাক দেওয়ার পর থেকেই হুমকি দেওয়াসহ বাড়িতে উঠতে দিচ্ছে না সাবেক স্ত্রীসহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা। প্রতিকার পেতে সম্প্রতি সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী রাম চন্দ্র। ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার ইউপির সান্দিড়া গ্রামে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সান্তাহার ইউপির সান্দিড়া গ্রামের মৃত রাখাল চন্দ্রের ছেলে সনাতন ধর্মের গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) রাম চন্দ্রের সঙ্গে একই ইউপির বামনীগ্রাম এলাকার গোলাপি বানুকে বিয়ে হয়। ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর কোর্ট এফিডেফিট মাধ্যম শেষে তারা সংসার জীবনে আবব্ধ হন। বিয়ের পর থেকে স্ত্রী গোলাপি বানু তার ইচ্ছেনুযায়ী চলাচল করতো। হতো না বনিবনা।

বাধ্য হয়ে একপর্যায়ে আইনগত ভাবে ২০২১ সালের ১৩ এপ্রিল মুসলিম ম্যারেজ রেজিস্ট্রার কল্যাণ সমিতিতে তালাক প্রদান করেন। তালাক নোটিশ পাওয়ার পর থেকে গোলাপী বানু ক্ষিপ্ত হয়ে তার সাথে হট্টগোল সৃষ্টি করে। এভাবে চলতে থাকে দীর্ঘদিন। চলতি বছরের ২৬মে হঠাৎ মুঠো ফোনের মাধ্যমে গোলাপী বানু অকথ্য ভাষায় তাকে গালিগালাজ ও বিভিন্ন প্রাকার হুমকি ধামকি দেন। এরপর ২৮ মে বিকেলে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ও পুলিশসহ গোলাপি বানুকে পুনরায় রাম চন্দ্রের বাড়িতে জোর পূর্বক ঢুকে দেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় রাম চন্দ্র বাধা দিলে তাকে মারধর ও বাড়ি ভাংচুর করে। এবং রাম চন্দ্রকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হবেনা বলে হুমকি ধামকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন প্রভাবশালীরা। ঘটনার পর থেকে প্রাণ ভয়ে নিজ বাড়িতে ফিরতে পারছেনা গ্রাম পুলিশ রাম চন্দ্র। এই ঘটনায় প্রতিকার পাওয়ার জন্য নিজেই দুপচাঁচিয়া সেনা ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print