বগুড়া মঙ্গলবার জেলার আলু ব্যবসায়ী, হিমাগার মালিক সমিতি ও অন্যান্য ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের মত বিনিময় সভায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর এর মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, সরকার আলু ডিম ও পেঁয়াজ এই তিনটি পন্যের মূল্য নির্ধারন করেছেন।
বগুড়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভা কক্ষে বিকাল ৪ টায় সভায় তিনি বলেন, সরকারের নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রি না করলে ডিম আমদানীর মত আলু আমদানীর জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করা হবে।
তিনি বলেন ,শিবগঞ্জের মোকামতলার আর এন্ড আর পটাটো কোল্ড ষ্টোর লি: -এ অভিযান পরিচলনা করে তিনি ৩ জন দালালকে পাকা রশিদ দেখাতে বললে তারা তা দেখাতে না পারায় তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। আটককৃতরা হলেন- জাহিদ হাসান, শাহ আলম ও রিপন মিয়া। তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলেছে বলে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ জানিয়েছে। তিনি বলেন, ভারতের কোলকাতায় আলু ১৪ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে বলে খবর নিয়েছেন। ভারতের মূল্যের চেয়ে দ্বিগুন দামে বিক্রি হলে বাংলাদেশে কোল্ড ষ্টোরে ২৮ টাকা কেজির উপরে যাবার কথা নয়। ভোক্তাপর্যায়ে ৩৫/৩৬ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয় । অতিরিক্ত মুনাফার জন্য মানুষকে কষ্ট দেয়া ঠিক নয় বলে তিনি উল্লেখ করেন। অজুহাত দেখিয়ে আলুর দামবৃদ্ধি ঠিক নয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর এর মহাপরিচালক বলেন, উৎপাদন পর্যায়ে আলু ১০ থেকে ১২ টাকার বেশি নয়। সেই আলু কৃষকরা অনেকে মাঠ থেকে কোল্ড ষ্টোরে রাখে। আবার দেখা গেছে কৃষকদের কাছ থেকে কিনে অনেক বড় গৃহস্থ কোল্ড ষ্টোরে রাখে। ২৭ টাকা কোল্ড ষ্টোর পর্যায়ে নির্ধারন করা হয়েছে। শিবগঞ্জে রসো বাবু নামের এক দালাল মোবাইল ফোনে আলুর ব্যবসা করছে। তাকে পাকড়াও করা হয়েছে। কোল্ড ষ্টোরে দালালরা আলু হাতবদল করে মূল্য বৃদ্ধি করে । এর ফলে ভোক্তা পর্যায়ে দাম বেড়ে যাচ্ছে। আলুর দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে আমরা বদ্ধ পরিকর। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী, জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ শফিউল আজম, কোল্ড ষ্টোর মালিক সমিতির নেতা আলহাজ্ব আবুল কলাম আজাদ, চেম্বারের সহ-সভাপতি মাহফুর রহমান রাজ, তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।