ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন্ন ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বগুড়ার কৃতি সন্তান ও ছাত্রনেতা ইফাত। তিনি হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ছাত্রদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন ও বর্তমানে সে ঐ হল ছাত্রদলের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।দীর্ঘদিনের সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা ও শিক্ষার্থীবান্ধব ভূমিকার কারণে তিনি ইতিমধ্যেই সহপাঠী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন।
বগুড়া জেলার সদর উপজেলার উপশহরে বাড়ি ইফাত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ বগুড়া হতে এসএসসি ও রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ , ঢাকা হতে কৃতিত্বের সাথে এইচএসসি পাশ করেন ও তারপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন।তার সেশন ২০১৮-১৯। রাজনীতির অঙ্গনে ইফাতের যাত্রা শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পরপরই। শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায় ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রেখে আসছেন। বিশেষ করে বিগত আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার আমলে যখন বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে ভয়, দমন-পীড়ন ও অন্যায়-অবিচার নেমে আসে, তখন তিনি প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হিসেবে সামনে আসেন। সহপাঠীদের উপর অন্যায় হলে তিনি সব সময় তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। নির্যাতিত ও হামলার শিকারও হয়েছেন নিষিদ্ব ছাত্রলীগের হাতে।তবুও মামলা-হামলা, নির্যাতন-নিপীড়ন ও হুমকি তাকে দমাতে পারেনি।
ভিপি প্রার্থী হয়ে ইফাত প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি শিক্ষার্থীদের সকল কল্যাণমূলক কার্যক্রমে গুরুত্ব দেবেন। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ন্যয্য অধিকার আদায়ে সর্বদা প্রস্তুত থাকবেন।তার অঙ্গীকার—
শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা, হল ও ডাকসুকে শিক্ষার্থীদের আস্থার প্রকৃত কেন্দ্রে পরিণত করা, মসংকটকালে ছাত্রদের পাশে দাঁড়ানো এবং সামাজিক-সাংগঠনিক কার্যক্রমকে নতুন দিগন্তে নিয়ে যাওয়া।
ইফাত বলেন, “ডাকসু ও হল সংসদ কেবল নির্বাচন আর পদ-পদবির জায়গা নয়; এটি শিক্ষার্থীদের জীবন-সংগ্রামের প্রতিফলন। আমি চাই, ভিপি হিসেবে শিক্ষার্থীদের প্রতিটি অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে ,হলের পরিবেশকে আরও সুন্দর ও পড়াশোনার উপযুক্ত করতে।হলকে মাদকমুক্ত করতে ও খেলাধুলা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রানিত করতে।
শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ মনে করছে, তার মতো অভিজ্ঞ, সংগ্রামী,সাহসী ও ত্যাগী নেতার প্রয়োজন ডাকসুতে। তাদের বিশ্বাস ইফাত ভাই ভিপি পদে নির্বাচিত হলে প্রকৃত অর্থেই শিক্ষার্থীদের কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন।
