মে ৪, ২০২৪ ১২:৫৩ এএম

সংবাদ প্রকাশের পর

ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বসতবাড়ির জায়গা ফিরে পেল সেই দম্পত্তি

ইউনিয়র পরিষদের সাথে প্রায় ১৫বছর ধরে চলা ঝামেলার নিরসন করে দিলেন নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে তাবাসসুম। তাঁর হস্তক্ষেপে বসতবাড়ির জায়গা ফিরে পেল এক অসহায় ভূক্তভোগী দম্পত্তি। আর জায়গা ফিরে পেয়ে খুশি লাবনী-পরিমল দম্পত্তি।

গত ৯ এপ্রিল উপজেলার পারইল হাটের জায়গা দাবি করে পরিমল-লাবনী দম্পত্তির নির্মাণকৃত বসত বাড়ির টিনের রান্নঘর ও সীমানা প্রাচীর ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। বিষয়টি নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে গত ১৬ এপ্রিল “অসহায় পরিবারের বসতঘর ভেঙে দিলেন চেয়ারম্যান” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর ইউএনও উম্মে তাবাসসুম উভয় পক্ষকে নোটিশ দিয়ে ডেকে নেন তাঁর অফিসে কক্ষে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান ও ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান। কাগজ অনুযায়ী তাদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হয় ভূক্তভোগী দম্পত্তিকে জায়গা বের করে দেওয়ার জন্য।

লড়াই চালিয়ে যাওয়া লাবনী আনন্দের সুরে বলেন, আমি নারী হয়ে অনেক সংগ্রাম চালিয়েছি। কিন্তু এর কোনো স্থায়ী সমাধান হচ্ছিল না। কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর ইউএনও স্যার নিজে হস্তক্ষেপ করেন। অফিসে আমাদেরকে ডেকে নিয়ে সঠিক ভাবে মাপ জোঁক করে সীমানা নির্ধারণ করে দিতে নির্দেশ দেন চেয়ারম্যান ও ভূমি অফিসারকে। স্যারের নির্দেশে গত শনিবার ২০ এপ্রিল সকলের উপস্থিতিতে আমাদের বসতবাড়ির জায়গা বের করে দেওয়া হয়েছে। আমরা যেখানে ছিলাম সেখানেই পেয়েছি। এরপর গত সোমবার ২২ এপ্রিল জায়গাটি ঘিরে নিয়েছি। এখন আর অসুবিধা নেই। এতে আমরা চরম খুশি। সেই সাথে চির কৃতজ্ঞ থাকবো ইউএনও স্যারের প্রতি। পাশাপাশি এই প্রতিবেদককেও ধন্যবাদ জানাতে ভূলেননি তারা।

পারইল ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, ইউএনও স্যারের নির্দেশে চেয়ারম্যান মেম্বারসহ উপস্থিত থেকে পরিমল-লাবনী দম্পত্তির জায়গাটি বের করে দেওয়া হয়েছে। স্যারের দূরদর্শী ব্যবস্থাপনায় লাবনী দীর্ঘদিনের কাংখিত জমিটি ফিরে পেয়েছে। আর এই কাজের জন্য উপজেলা প্রশাসন প্রশংসিত হয়েছে।

পারইল ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, দীর্ঘদিনের চলমান সমস্যা ইউএনও স্যার সমাধান করে দিয়েছেন। আশা করি এটা নিয়ে আর কোনো সমস্যা হবে না।

জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে তাবাসসুম মুঠোফোনে বলেন, জায়গাটি নিয়ে দীর্ঘদিন জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল। লাবনী-পরিমল দম্পত্তির অভিযোগ পেয়ে তাদের মালিকানার কাগজসহ শুনানির জন্য ডাকা হয়। এরপর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, সার্ভেয়ার এর মাধ্যমে জায়গা পরিমাপ করে ইউনিয়ন পরিষদের জমি, লাবনীর জমি ও হাটের জমি চিহ্নিত করা হয়। জনসেবায় উপজেলা প্রশাসন সর্বদাই পাশে আছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print