এপ্রিল ৩০, ২০২৪ ১:৩৯ এএম

ইরানের হামলার আগেই ইসরায়েল ও আমেরিকাকে তথ্য দিয়েছিল সৌদি

ইরানের হামলার আগেই ইসরায়েল ও আমেরিকার কাছে গোয়েন্দা তথ্য দিয়েছিল সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ আরব।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে একজন কমান্ডারসহ ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পসের সাত কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ হামলার জবাবে গত রোববার ভোরে ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান।

ইসরায়েল দাবি করেছে, ইরানের হামলায় খুব সামান্যই ক্ষতি হয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেপণাস্ত্রই আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়েছে। এতে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জর্ডান সহায়তা করেছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, এই হামলার দুই দিন আগে ইরানের কর্মকর্তারা সৌদি আরব ও অন্যান্য উপসাগরীয় দেশগুলোকে হামলার সম্ভাব্য রূপরেখা ও সময় জানিয়েছিল, যাতে তারা তাদের আকাশসীমা রক্ষা করতে পারে।

পরে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সেই তথ্য আমেরিকা ও ইসরায়েলের কাছে পাঠায়।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেট ভবনে ভবনে ইসরায়েলের হামলার পর থেকে মার্কিন কর্মকর্তারা ইসরায়েলের ওপর ইরানের পরিকল্পিত হামলার বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য জানানোর জন্য আরব সরকারগুলোর ওপর চাপ দিতে থাকে। এর ফলশ্রুতিতে ইরানের হামলার তথ্য প্রকাশ প্রাথমিকভাবে সৌদি ও আরব আমিরাত নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়। পরে তারা আমেরিকাকেও তথ্য জানায়।

একই সময়ে জর্ডান জানায়, তারা আমেরিকা ও অন্যান্য দেশের যুদ্ধবিমানকে তার আকাশসীমা ব্যবহার করার অনুমতি দেবে, পাশাপাশি ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনকে বাধা দিতে সহায়তা করার জন্য তার যুদ্ধবিমান ব্যবহার করতে দেবে।

একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেন, ‘আরব দেশগুলোর তথ্যের ভিত্তিতে হোয়াইট হাউস পেন্টাগনকে যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে পুনঃস্থাপনের নির্দেশ দেয়।’

ইসরায়েলি ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ইরান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করার পরপরই কাতারে মার্কিন অপারেশন সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোতে প্রাথমিক সতর্কতা রাডারের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়েছিল। এরপরই মার্কিন অপারেশন সেন্টার ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র-প্রতিরক্ষা সেন্টারে তথ্য পাঠায়।

এদিকে গতকাল সোমবার ইসরায়েলের সামরিক চিফ অফ স্টাফ হারজি হালেভি বলেছেন, ‘ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ মিসাইল ও ড্রোন হামলার জবাব দেওয়া হবে।’

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print