জেলার প্রতিটি মুসলমান যেন শান্তিপূর্ণভাবে ও নির্বিঘ্নে ঈদের জামাত আদায় করতে পারেন সেজন্য সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জেলা পুলিশ।
শনিবার (৯ জুলাই) বগুড়া জেলার সূত্রাপুরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন পুলিশ সুপার (এসপি) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী।
ঈদগাহ পরিদর্শন শেষে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শন করেছি। কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য পুলিশের বিশেষ দল মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি মুসল্লীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঈদগাহ মাঠের প্রবেশ দরজায় তল্লাশী চালানো হবে।’
ঈদুল আজহার জামাতের জন্য জেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পৌর এলাকার পশু কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কথা জানিয়ে পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা বলেন, ‘পৌর এলাকার সব ধরনের বর্জ্য আমরা ঈদের দিনই পরিষ্কার করার পরিকল্পনা করছি। সবকিছু ঠিক থাকলে ১২ ঘন্টার মধ্যেই সব বর্জ্য নির্দিষ্ট স্থানে সরিয়ে ফেলা হবে।’
এদিকে বগুড়া জেলায় ১ হাজার ৬৮৭ কেন্দ্রে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে জেলার প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় শহরের সুত্রাপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে হবে।
এছাড়াও সদর উপজেলায় ৪৮টি , শাজাহানপুরে ৪৬টি, শিবগঞ্জে ১৬২টি, গাবতলীতে ১৫৭টি, সোনাতলায় ১১৭টি, আদমদীঘিতে ২১০টি, দুপচাঁচিয়ায় ১০৪টি, কাহালুতে ১৪২টি, নন্দীগ্রামে ১৬২টি, শেরপুরে ১২১টি, সারিয়াকান্দিতে ১৫৮টি ও ধুনটে ২৬০টি কেন্দ্রে ঈদের জামাতের আয়োজন করা হচ্ছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আলী হায়দার চৌধুরী বিপিএম, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম রেজা, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি টি জামান নিকেতাসহ সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যান্য সংস্থাগুলো।
এনসিএন/এআইএ