এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা পেছানোর সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ১৭ আগস্ট। এই পরীক্ষা সুষ্ঠু, নকলমুক্ত পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) জাতীয় মনিটরিং ও আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা ডাকা হয়েছে। সভা শেষে পরীক্ষার বিস্তারিত তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। এছাড়াও শিক্ষাবোর্ডগুলোর পরীক্ষার সব প্রস্তুতি শেষ করার পর শুরু হয়েছে প্রবেশপত্র বিতরণ।
এই অবস্থায় সোমবার (৭ আগস্ট) চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে বিক্ষোভ ও রাস্তা অবরোধ করেছে রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। একই দাবিতে মঙ্গলবারও বিক্ষোভ করছে তারা।
এমন বাস্তবতায় আন্তঃশিক্ষাবোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, পরীক্ষা পেছানোর দাবি ওঠানো শিক্ষার্থীরা না বুঝে আন্দোলন করছে। এই পরীক্ষা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। চেয়ারম্যানের দাবি, শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করেই পরীক্ষার সময়সূচি ও নম্বর সাজানো হয়েছে।
আন্তঃশিক্ষাবোর্ডের সমন্বয়ক বলেন, আমরা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাকে আগের সময়সূচি অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি, এপ্রিলে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে চাই। সেজন্য পরীক্ষাগুলো আস্তে আস্তে এগিয়ে আনা হচ্ছে। এই বিষয়টি আগেই নোটিশ করা হয়েছে। পরীক্ষার সিলেবাস ও রুটিন অনেক আগে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সব পক্ষের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরীক্ষা আগের নির্ধারিত সময়েই হবে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের চারটি দাবির মধ্যে রয়েছে- ৫০ নম্বরে পরীক্ষা নিতে হবে, পরীক্ষা দুই মাস পিছিয়ে দিতে হবে, ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নয় এবং পরীক্ষা থেকে আইসিটি বিষয়টি বাদ দিতে হবে।
শিক্ষার্থীদের এসব দাবির বিষয়ে শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, এসব দাবি মানার মতো সময় ও সুযোগ এখন হাতে নেই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক ক্লাস পরীক্ষা হতে পারলে এইচএসসি পরীক্ষা নিতে সমস্যা কোথায়?
সোমবার ( ৭ আগস্ট ) এইচএসসি পরীক্ষার তারিখ পেছানোর দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে সড়কে অবস্থান নেয়া আন্দোলনরত কিছু শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। এর আগে পুলিশ তাদের রাস্তা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য বলে। তবে শিক্ষার্থীরা রাজি না হওয়ায় তাদের মধ্যে থেকে ছয়জন শিক্ষার্থীকে আটক করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এনসিএন/এসকে