ডিসেম্বর ১, ২০২৫ ২:৩৭ অপরাহ্ণ

এই সরকার ভালো মানুষ কিন্তু কাজের মানুষ না : বগুড়ায় মান্না 

নাগরিক ঐক্যের কর্মী সভায় দলটির সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমালোচনা করে বলেন, এই সরকার ভালো মানুষ কিন্তু কাজের মানুষ না। গত চার মাস চার দিনে দেশে উল্লেখযোগ্য তেমন কোন পরিবর্তনই এখনো হয়নি। উল্টো এক চোরের দল বিদায়ের সাথে সাথে আরেক দল লুটপাট ও দখলদারিত্বের রাজনীতি শুরু করেছে। জুলাই আন্দোলন তো এই উদ্দেশ্যে হয়নি। 

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে বগুড়া শহরের জেলা পরিষদ মিলনায়তনে তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় মান্না বলেন, উর্ধ্বমুখী বাজারে সাধারণ মানুষ যখন হিমশিম খাচ্ছে তখন গত ৪ মাসে কেন এখনো ভাঙ্গা গেল না ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট। ৫ আগস্টের পরেও এখনো পুলিশবাহিনী ও প্রশাসন ঠিক হয়নি। জুলাই আন্দোলনে যারা দেখে দেখে ছাত্র জনতার উপরে গুলি করলো সেই সমস্ত পুলিশ সদস্যরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে।

তিনি বলেন, ভাল একটি নির্বাচনের জন্যে সবার আগে প্রয়োজন ভালো একটি পুলিশ বাহিনী, আমলাতন্ত্র ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন। তবে আমরা বলছি না যে এখনই নির্বাচন দিতে হবে তবে সংস্কার হোক গণমানুষের কল্যাণের জন্য।

এছাড়াও সভায় ভারত প্রসঙ্গে মান্না বলেন, ভারতের সাথে বন্ধুত্ব হবে বন্ধুত্বের মতো প্রভুত্বের নয়। দেনা পাওনার হিসাব কড়ায় গণ্ডায় বুঝিয়ে নেয়া হবে। এখন সময় এসেছে নিজেদের পাওনা বুঝে নেয়ার।

মাহমুদুর রহমান মান্না আরো বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে শেখ হাসিনার বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে দফায় দফায় মিটিং করে, ছাত্র-জনতার উপর নির্বিচারে গুলি চালানোর হুকুম দেন। আন্দোলন দমাতে শেখ হাসিনার নির্দেশে হেলিকপ্টার থেকে ছাত্রদের উপর গুলি চালানো হয়েছে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের আন্দোলনে ছাত্র-জনতা বুক চিতিয়ে লড়াই করেছে। তারা বলেছে আন্দোলন থেকে পিছনে ফেরার সময় নেই, পিছনে পুলিশ সামনে স্বাধীনতা। উন্নয়নের নামে শেখ হাসিনা পদ্মাসেতু ও মেট্রোরেল প্রকল্পে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। শেখ হাসিনা রাষ্ট্রক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের গুম, খুন, মামলা-হামলা চালিয়েছেন।

কর্মী সভায় বগুড়ার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত তৃণমূলের কর্মীদের নিয়ে আয়োজিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, সাংগঠনিক সম্পাদক শাকিব আনোয়ার, কোষাধ্যক্ষ শাহনাজ হক রানু এবং সদস্য আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print