বগুড়া, ১৬ মে ২০২২: আটার চেয়ে এখন গো-খাদ্য ভূষির দাম বেশি। গো-খাদ্য মোটা গমের ভূষির দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে গো-খামারিরা। গমের ভূষির দাম বৃদ্ধি সম্পর্কে জেলার ফ্লাওয়ার মিলের মালিকরা গম আমদানীর বন্ধের কারন দেখাচ্ছে।
ঈদের আগে ৩৭ কেজি বস্তার ভূষির ওজনের দাম ছিল ১৪৫০ টাকা । ঈদের পর পর প্রতি বস্তা ভূষির (৩৭ কেজি)দাম ছিল ১৯৫০ টাকা। ঈদের পর থেকে সেই গমের ভূষির বস্তা প্রতি দাম দফায় দফায় বেড়ে এখন ১৯৫০ টাকায় উঠেছে। সীমা ফ্লাওয়ার মিলের ম্যানেজার মমিনুল ইসলাম মিলন জানান এক কেজি আটা(খোলা) বিক্রি করছেন ৪৪ টাকা ৩২ পয়সা। আর এক কেজি আটার ( মোটা)ভূষির দাম ৫২ টাকা।
তিনি আরো জানান খামরিদের চাহিদা অনুযায়ী তারা ভূষি সরবরাহ করতে পারছেন না। যে খামারির দিনে ১০ বস্তা ভূষির প্রয়োজন তাকে তাকে ৫ বস্তা, আর ৫ বস্তার প্রয়োজন তাকে ২ বস্তা ভূষি দেয়া হচ্ছে। কারন হিসাবে তিনি জানান যেহেতু গম সংকট তাই আটা ও ভূষির উৎপাদন কমিয়ে দেয়া হয়েছে।
জেলার গো-খামারিরা জানান, এভাবে গমের ভূষির দাম বেড়ে গেলে তাদের খামার বন্ধ করে দিতে হবে। তা না হলে দুধের দাম বাড়িয়ে দিতে হবে। রহমান নগরের রষ্ট্রপতি পদক প্রাপ্ত আবেদীন ডেইরী ফার্মের সত্বাধীকারি সামসুল আবেদীন সবুর জানান, দুধের দাম বাড়ানোর কথা তো দুরের কথা ভূষি সরবরাহ বন্ধ হলে খামার বন্ধ করে দিতে হবে। দেখা দিবে দুধের সংকট।
জেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, জেলায় গাভীর সংখ্যা ১২ লাখ ৮৪ হাজার। খামারী আছে ৪ হাজার ২৪ টি। গো-খাদ্যে দাম অস্বাবাবিক বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন গো-খাদ্যে মূল্য বৃদ্ধি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা গো-খাদ্যের মুল্য বৃদ্ধির উপর নজর রাখছি।
এদিকে আসন্ন ঈদল আযহা উপলক্ষে যারা কোরবানির পশু পালন করছেন তারাও গো খাদ্যের সংকটে পড়েছে। তাদের এখনশুধু কাঁচা ঘাসের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। গো-খাদ্যের মধ্যে মশুর ডালের ভূষি, সায়াবিনের খৈল, সরিষার খৈল এর দামও বেড়েছে। এ দিয়ে গো-খাদ্য নিয়ে মহা সংকটে আছে জেলা গো-খামারিরা।
এনসিএন/এএ
