মে ১৭, ২০২৪ ৩:১৭ পিএম

গুজবে কান দিয়ে বগুড়ায় প্রয়োজনের অতিরিক্ত সার মজুদ করছে কৃষক

গুজবে কান দিয়ে বগুড়ায় প্রয়োজনের অতিরিক্ত সার মজুদ করছে কৃষক?
গুজবে কান দিয়ে বগুড়ায় প্রয়োজনের অতিরিক্ত সার মজুদ করছে কৃষক? ছবি: এনসিএন

গুজবে কান দিয়ে বগুড়ায় কৃষক প্রয়োজনের অতিরিক্ত সার মজুদ করতে ডিলারদের দোকানে সারের জন্য ভীড় করছে কৃষক।

জেলার একটি মহল কৃষকদের এই বলে অশান্ত করে তুলছে এই বলে যে, দেশের সার কারখানা বন্ধ তাই সারের সংকট দেখা দিতে পারে, অথবা সারের দাম আরো বৃদ্ধি পেতে পারে এমন গুজব ছড়িয়ে কৃষকদের বিভ্রান্ত করছে। জেলা ফার্টিলাইজার এ্যাসোসিয়েশেন বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন গত তিনবছর ধরে একই বরাদ্দ ছিল।

আরো পড়ুনঃ যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেলেন আইজিপি

২০২১-২২ অর্থ বছরের জেলায় ইউরিযা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৯৩ হাজার ৮৪৯ মেট্রিক টন। এবারও ঐ একই বরাদ্ধ আছে। গত বছর সারের ডিলারের দোকানে কোন ভীড় ছিল না । এবার যে সারের ডিলার ৪০০ বস্তা সার বরাদ্দ পেয়েছে সেই ডিলারের দোকানে ৬০০ জনের লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। সারের জন্য গত ১৪ বছরে এতো লাইনে থাকতে দেখা যাযনি।

জেলা ফার্টিলাইজার এ্যাসোসিয়েশেন সভাপতি আরো বলেন, এটা হয়তো পরিকল্পিত ভাবে কৃষকদের উসকে দেয়া হচ্ছে। যাতে বর্তমান সরকারকে আর কেউ বলতে না পারে ‘কৃষি বান্ধব’ সরকার। তিনি আরো বলেন চলমান খরার কারনে আমন জমিতে ইউরিয়া বেশি লাগছে। কিন্তু তাই বলে এতো বেশি লাগার কথা নয়। বৃষ্ট হলে জমিতে ন্ইাট্রোজেনের অভাব দুর হবে। তখন সার প্রয়েগ করতে হবে।

কৃষি সম্প্রনারন অধিদপ্তর সূত্র জানায় সারের পর্যপ্ত মজুদ আছে তা সত্বেও সারের জন্য কৃষকদের লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার কথা নয়।

আরো পড়ুনঃ অতিরিক্ত ধান মজুদের দ্বায়ে উত্তরবঙ্গ এগ্রো ফুডকে ২ লাখ টাকা জরিমানা

সদর উপজেলার সাবগ্রামের বিসিআইসির অনুমোদিত ডিলার আলহাজ্ব আতাউর রহমান এর ম্যানেজার শাহিন আলী জানান, তারা বরাদ্দের সার ঠিকমত পাচ্ছেন। কৃষকরা মনে করছে ইউরিয়া সারের দাম আবার বাড়তে পারে তাই তারা আলু মৌসুমের সার সংগ্রহ করে রাখছে। সেকানে সার সংগ্রহ করতে আসা অধিকাংশ কৃষক জানান তারা সরকার নির্ধারিত মূল্যে সার পেয়েছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক এনামুল হক জানান, জেলায় বিসিআইসির ডিলার আছে ১৬৩ জন আর বিএডিসির ডিলার আছে ২৩৩ জন। এদের মধ্যে যারা ২০০১ সালে লাইসেন্স করেছেন তাদের অনেকে বিভিন্ন পেশায় জড়িত।

কৃষি কর্মকর্তা উদাহরণ টেনে বলেন, মহিলা দলের নেত্রী সাবেক এমপি নূর আফরোজ বেগম জ্যাতির নামে ২০০১ সালে ডিলার হিসাবে লাইসেন্স পান । এই রকম ২০০১ সালে দলীয় বিবেচনায় লাইসন্স পেয়েছেন।

তিনি আরো জানান, এ মাসে বরাদ্দ ১১ হাজার ৩৫৫ মেট্রিক টন। উত্তোলন হয়েছে ৯৩৫৩ মেট্রিকটন, মজুদ আছে ১২২৯ মেট্রিকটন।

নন ইউরিয়া সার টিএসপি বরাদ্দ আছে ১৫০৭ মেট্রিক টন, উত্তোলন হয়েছে ১২৩৭ মেট্রিকটন, মজুদ আছে ৭২৪ মে:টন। এমওপি বরাদ্দ এসেছে ১৫৮৯ মেট্রিকটন, উত্তোলন হয়েছে ১২৭০ মে:টন, মজুদ আছে ৪০৬ মে:টন। ডিএপি বরাদ্দ এসেছে ২১২৫ মে:টন, উত্তোলন হয়েছে ১০৪৬ মে:টন, আর মজুদ আছে ১৬৭২ মে:টন।

জেলায় বৃহস্পতিবার (২৫ আগষ্ট) পর্যন্ত আমন রোপন হয়েছে ৯৭ শতাংশ। আগষ্ট মাসে ইউরিয়ার এসেছে ৬৭০০ মেট্রিকটন। এছাড়া বছরের বরাদ্দের পরও অতিরিক্ত ২ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার এসেছে। কৃষি কর্মকর্তা বলেন অতীতের মত এবার তাদের দেয়া চাহিদার অতিরিক্ত সার লাগা কথা নয়। তবে হচ্ছে টা কি? এমন প্রশ্ন জেলার সার ডিলার ও ফার্টিলাইজার এ্যসোসিয়েশনের কাছে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print