মে ১৯, ২০২৪ ৪:৫৭ পিএম

‘জিপিএ’ এর বদলে ফলাফল হবে চিহ্নভিত্তিক

এবার জিপিএ পদ্ধতির বদলে শিক্ষার্থীদের মেধা মূল্যায়নে ব্যবহার করা হবে পারফরম্যান্স ইন্ডিকেটর বা পারদর্শিতা সূচক। অর্থাৎ ফলাফল প্রদর্শনে নম্বারের পরিবর্তে চিহ্ন ব্যবহার করা হবে। ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের দিয়ে এ প্রক্রিয়ায় মূল্যায়ন শুরু হবে।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড বলছে, নতুন মূল্যায়ন পদ্ধতি প্রবর্তনে জিপিএ-৫ নিয়ে মাতামাতির অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধ হবে।

চলতি বছর মাধ্যমিক পর্যায়ে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণিতে চালু হয়েছে নতুন এ মূল্যায়ন। এতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে প্রচলিত নম্বরভিত্তিক জিপিএ পদ্ধতি থাকছে না। এর পরিবর্তে পারফরম্যান্স ইন্ডিকেটর বা পারদর্শিতা সূচক চিহ্ন ব্যবহার করা হবে। ফলাফল হিসেবে যে ইনডিকেটর বা চিহ্ন দেয়া হবে, তা থেকে বোঝা যাবে কোন শিক্ষার্থী কোন বিষয় বা কাজে বেশি দক্ষ। চিহ্নে ‘ভালো’, ‘মধ্যম’ বা ‘খারাপ’ ফল বলে কোনো বার্তা থাকবে না।

গোল্ডেন জিপিএ-৫ কে কাল্পনিক আখ্যা দিয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেন, জিপিএর জায়গায় আমরা এখন গোল্ডেন জিপিএ ৫ তৈরি করে নিয়েছি। আমাদের মনে হয়েছে, এ মনোভাবের পরিবর্তন দরকার। তাই সামষ্টিক মূল্যায়ন এবং ধারাবাহিক মূল্যায়ন বা শিখনকালীন মূল্যায়নকে একসঙ্গে করা হবে; কিন্তু সেটা নম্বরভিত্তিক হবে না।

প্রাথমিকভাবে পারদর্শিতা সূচক হিসেবে ত্রিভূজ, বৃত্ত ও চতুর্ভূজ ব্যবহার করা হলেও, প্রতিবছরই চিহ্নে পরিবর্তন আসবে। কিন্তু কেন এ পরিবর্তন সে বিষয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।

নতুন পদ্ধতি যেন আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে গ্রহণযোগ্য হয়, সেদিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়ে শিক্ষাবিদরা বলছেন, জিপিএ পদ্ধতি বাদ দেয়ার আগেই নতুন মূল্যায়ন পদ্ধতি সম্পর্কে শিক্ষকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক নতুন এ মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে বলেন, সারা দুনিয়াতে ‘৪’ কে সর্বোচ্চ গ্রেড ধরে গ্রেডিং পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হয়। এসএসসি, এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষাগুলোতে লাখ লাখ ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। অতঃএব তাদের মূল্যায়নে যদি কোনো ভুল হয়ে যায়, তাহলে তাদের লেখাপড়ার শুরুতেই বাধা সৃষ্টি করবে।

এনসিএন/এসকে

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print