ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল। প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হয়েছেন মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) নির্বাচিত হয়েছেন এস এম ফরহাদ এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) নির্বাচিত হয়েছেন মহিউদ্দিন খান।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় ডাকসু নির্বাচনের ফল ঘোষণায় উঠে আসে তাদের নাম।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম) সর্বমোট ১৪ হাজার ৪২ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী মো. আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৭০৮ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী উমামা ফাতেমা পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৮৯ ভোট। আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৬৮১ ভোট।
এছাড়া ভিপি পদে আব্দুল ওয়াহেদ ২৭, খালেক ১ হাজার ১০৩, আরিফুল ইসলাম ২৩, আল আমিন ইসলাম ১০, আসিফ আনোয়ার ৫, উমামা ফাতেমা ৩৩৮৯, সাদেক হোসেন ৩৯, জালাল আহমদ ৮, জাহিদ হাসান ১৭, তাহমিনা আক্তার ২৬, দ্বীন মো. সোহাফ ৬, মার্জিয়া হোসেন ৩৫, মাহাদি হাসান ৯, আবু তৈয়ব ১০, দেলোয়ার ১২, আজগর ৬, জামাল উদ্দিল, খালেদ ৫০৩, শফিক রহমান ৬, বিন ইয়ামিন মোল্লা ১৩৬, আবুল হোসেন ৭, ইয়াসিন আরাফাত ৬২, উজ্জ্বল হোসেন ৬, নাঈম হাসান ২৪, নাসির উদ্দীন মুদাব্বির ৩, রাসেল মাহমুদ ৭, সুজন ১, শামীম ৩৮৮৩ ও ইমি ৬৮ ভোট পেয়েছেন।
জিএস পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী এস এম ফরহাদ ১০ হাজার ৭৯৪ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী তানভীর বারী হামীম ৫ হাজার ২৫৭ ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে প্রতিরোধ পর্ষদের প্রার্থী মেঘমল্লার বসু পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৪৯ ভোট।
জিএস পদে আরাফাত ৪ হাজার ৪৪, সাদী ২৭১, অনয় ৭৫, মাহমুদুল ৮৪, মেঘ ৪ হাজার ৯৪৯, আবু বাকের মজুমদার ২ হাজার ১৩১, মাহিন সরকার ৩৭ ও হামিম ৫ হাজার ২৮৩ ভোট পেয়েছেন।
এজিএস পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী মহিউদ্দীন খান পেয়েছেন ৯ হাজার ৫০১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৪ ভোট। এ পদে বাকি প্রার্থীদের মধ্যে অদিতি ৩৬৭, আকাশ বিশ্বাস ২২২, আরমানুল হক ১৮৬, আলাউদ্দিন ১৩৬, আশরেফা খাতুন ৯০০, আদিল ৮৩, জাহেদ ২৪২ ও তাহমিদ আল মুদ্দাসিসর ৩ হাজার ৮ ভোট পেয়েছেন।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষে গণনা শুরু হয়। ডাকসু নির্বাচনের ফল ঘোষণা নিয়ে ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি তৈরি হয়। সারাদিন বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা, অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের মধ্য দিয়ে ভোট গ্রহণ শেষ হয়।
সকাল ৮টা থেকে আটটি কেন্দ্রে শুরু হওয়া ভোট গ্রহণ শেষ হয় নির্ধারিত সময় বিকেল ৪টায়। তবে ৪টার পরও যারা লাইনে ছিলেন তাদের ভোটগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়েছে।
এবার ডাকসুতে ২৮টি পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ৪৭১ জন। আর ১৮টি হল সংসদে নির্বাচন হবে ১৩টি করে পদে। হল সংসদের ২৩৪টি পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ১ হাজার ৩৫ জন। অর্থাৎ সব মিলিয়ে এবার ভোটারদের ৪১টি ভোট দিতে হবে। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার।