প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার জন্য বন্যপ্রাণীর যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। এটা খুব স্পষ্টভাবেই উপলব্ধি করতে পারেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রাণী সংক্রান্ত তাকে নিয়ে পোষ্টগুলো দেখেই অনুভব করা যায়। এছাড়াও নিরবে তিনি দেশের মানুষের জন্য মানবিক কাজ করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
তবে দুঃখজনক সত্য মানুষ নিজের স্বার্থে নির্বিচারে শিকার, বনভূমি ধ্বংস ও দূষণের মাধ্যমে বন্যপ্রাণীর অস্তিত্ব বিপন্ন করছে। এর ফলে অনেক প্রাণী আজ বিলুপ্তির পথে, যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি। আমাদের সবার উচিত বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য সচেতন হওয়া। গ্রামাঞ্চলে বন্দুক দিয়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ঘুঘু, বকসহ বিভিন্ন পাখি শিকার বন্ধ হওয়া জরুরী। দেশের পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখতে সম্মিলিত উদ্যোগ বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। তারই ধারাবাহিকতায় যাত্রা শুরু করেছে- বাংলাদেশ এ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। বন্যপ্রাণী গবেষক ও বিশেষজ্ঞ আদনান আজাদকে আহ্বায়ক ও মেহেদী হাসিবকে সদস্য সচিব করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সম্প্রতি রাজধানীর বনানীতে একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটিতে বাপ্পি খানকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এবং শাহানা শিমু, ফাইজুল ইসলাম নীল, তৌফিক সিতু ও সিমান্ত সরকারকে সদস্য করে সংগঠনটির প্রধান সমন্নয়ক ও আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক বিশিষ্ট সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন এ কমিটির অনুমোদন দেন।
সংগঠনটির স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও প্রধান উপদেষ্টা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রাণীর প্রতি ভালোবাসা থেকেই এ উদ্দ্যোগকে স্বাগত জানান। তিনি প্রকৃতি প্রেমিক ও মানবিক হৃদয়ের একজন রাজনীতিবিদ। প্রকৃতি এবং প্রাণীদের প্রতি তারেক রহমানের ভালোবাসা প্রকৃতি প্রেমের পরিচয় বহন করে। দৃষ্টিভঙ্গি শুধু রাজনৈতিক সংস্কারেই সীমাবদ্ধ নয়, তারেক রহমানের পরিবেশ সংরক্ষণ ও প্রাণী কল্যাণের জন্য বিস্তর পরিকল্পনা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। তিনি মনে করেন বন্যপ্রাণী ছাড়াও পোষা প্রাণীর প্রতিও যত্নবান হওয়াটা জরুরী। মানুষের জীবনে পোষা প্রাণী শুধুমাত্র বিনোদন বা শখের জন্য নয়, বরং তারা হয়ে ওঠে পরিবারের সদস্যের মতো। কুকুর, বিড়াল, খরগোশ, পাখি কিংবা অন্য কোনো প্রাণীকে যত্ন করে লালন করলে তারা আমাদের ভালোবাসার প্রতিদান দেয় নিঃস্বার্থভাবে। তবে দুঃখজনকভাবে অনেকেই শুধু আবেগ বা শখ থেকে প্রাণী পালন শুরু করেন, কিন্তু নিয়মিত যত্ন নিতে ব্যর্থ হন। এতে প্রাণীরা কষ্ট পায় এবং নানা রোগে আক্রান্ত হয়। তাই পোষা প্রাণী রাখলে কিছু দায়িত্বশীল আচরণ মেনে চলা জরুরি। সুস্থ ভাবে তাদের বিকাশের জন্য সবারই দায়িত্ববোধ থেকে পরিচর্যা করাটা জীবের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। তিনি বাংলাদেশের প্রাণি ও পরিবেশ কল্যাণে আর্থিক সহায়তা করে সক্রিয়ভাবে অবদান রেখে চলেছেন।