মে ১৭, ২০২৪ ৮:২০ এএম

তীব্র তাপদাহে বগুড়ায় ৩৩ ফুট নিচে নেমেছে পানির স্তর, হুমকিতে কৃষি জমি

বগুড়ায় তীব্র তাপদাহে পানির স্তর অস্বাভাবিকভাবে নেমে যাওয়ায় সেচ কাজ পড়েছে হুমকির মুখে। জনস্বাস্থ্য বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া জানান, বগুড়ার একটি শাজাহানপুর এলাকায় খরায় পানির স্তর ৩০ থেকে ৩৩ ফুট নিয়ে নেমে গেছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী এই তাপদাহে ধানের ক্ষেতে কমপক্ষে সার্বক্ষনিক ৫ ইঞ্চি পানি রাখাতে মাটি খনন করে বিদ্যুৎ চালিত পাম্প বসিয়ে পানি উত্তোলন করে সেচে দিচ্ছে। পানির স্তর না পাওয়ায় ১৫ থেকে ২০ ফুট পর্যন্ত মাটি খনন করে বিদ্যুৎ চালিত পাম্প বসিয়ে পানি উত্তলন করে সেচ কাজ পরিচলান করছে।

শাজাহানপুরের কৃষক আব্দুস সামাদ জানান, কোন ক্রমেই ধানের ক্ষতি হতে দেয়া যাবে না। সে জন্য তারা বিদ্যুৎ চালিত পাম্প মেশিনের মালিকদের নিকট থেকে পানি নিচ্ছেন তাদের উৎপাদিত ফসলের এক চতুর্থাংশ ধানের আঁটির বিনিময়ে। এতে তাদের সুবিধা আছে। টাকা দিয়ে পানি কিনলে তাদের নগদ টাকা দিতে হতো। সেই টাকা এখন তারা জামিতে সার ,কীট নাশক দিতে পারে।

বরাবরের মত এবার বেশ কিছু মানুষ ১৫ -২০ ফুট মাটি খুঁড়ে পাম্প বসিয়ে কৃষকদের কাছে পানি বিক্রি করছে। গভীর নলকুপের মালিক প্রতি সেচে পানির দাম নির্ধারণ করে। এখানে মাটি খনন করে বিদ্যুৎ চালিত পাম্প বসানোর মালিক যত পানি দরকার কৃষকের চাহিদা অনুযায়ী ততো পানি দেবে। কৃষকরা এতেই খুশি। এই পদ্ধতি শাহাজানপুর উপজেলায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই পদ্ধতি।

বগুড়া জেলার শাজাহানপুর উপজেলার দেগালপাড়ায় জালাল উদ্দিন জানান, শাজাহানপুরের খোট্টাপাড়া, মাদলা ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে পানি নেমে গেছে। তবে এ বছর তীব্র তাপদাহে পানির স্তর অস্বাভাবিকভাবে নিচে নেমে গেছে। বিদ্যুৎ চালিত পাম্প মালিকরা তারা প্রতি বছর পাম্প দিয়ে জমির ভূগর্ভের পানি উত্তোলন করে বোরো মৌসুমে কৃষকদের জমিতে পানি দেয়ার স্কিম হাতে নেন। এর জন্য টাকার পরিবর্তে উৎপাদিত ধানের এক চতুর্থাংশ পাম্প মালিক ও এক শতাংশ জমির মালিক নিয়ে থাকেন। অর্থাৎ এক আঁটি পাম্প মালিক নেন। তিন আঁটি জমির মালিক পায়। ধান না ওঠা পর্যন্ত সেচ কাজ চলতে থাকে। তাতে বিদ্যুৎ চালিত অগভীর পাম্প মালিকদের লোকসান হলেও পানি দিতে হবে।

জমির মালিক সামাদ জানান, গভীর নলকুপে যারা পানি দেয় তারা প্রতি সেচে টাকার অংক গুণতে থাকেন। এভাবে চুক্তি হয়ে থাকে এবং এ চুক্তি অনুযায়ী তারা পানি সরবরাহ করেন।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print