মাঝারী থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ ও লোডশেডিংএর মানুষ ও প্রাণীকুলের বিপর্যস্ত অবস্থা। দিনের শুরুতে বাতাসে আর্দ্রতা বৃদ্ধি পেলেও দিন গড়িয়ে দুপুর হতে বাতাসে আর্দ্রতা কমে যাওয়ায় বেলা ১২ টার পর থেকে তীব্রগরম অনুভুত হচ্ছে। এই গরমে বযস্ক মানুষ মূর্চ্ছা যাচ্ছে। প্রাণী কুল তাপমাত্রা সহ্য করতে না পেরে নদী অথবা পুকুরে ডুবে থাকছে।
এদিকে গত ১৭ এপ্রিল বগুড়া বাংলাদেশ ব্যংকের রহমত আলী নামের এক গার্ড (৫০) হিটস্ট্রোকে মারা গেছেন বলে জানিয়ছেন জেলা বগুড়া মেহাম্মাদ আলী হাসপাতলের তত্বাবধায়ক ডা: এ টি এম নুরুজ্জামান ।
বগুড়ায় কখনও তাপমাত্রার পারদ উঠছে আবার কোন দিন সামান্য কমছে। বৃহস্পতিবার বগুড়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সর্ব নিম্ন ছিলো ২৮ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সকাল ৯ টায় বগুড়ায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭৬ শতাংশ আর দুপুর ৩ টায় ছিল ৪৮ শতংশ।
বগুড়া নেসকোর তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাসিবুর রহমান জানান গত কযেকদিনের তুলনায় বৃহস্পতিবার লোডশেডিং কম ছিল। বৃস্পতিবার ১০ মেগাওয়াট লোডসেডিং চলছে। জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ৯৫ মেগাওয়াট । আর বিদ্যুৎ পাওয়া যচ্ছে ৮৫ মেগাওয়াট।
তারা বলছে বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ সরবরাহ বেশি পাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় দিনে একবার ১ ঘন্টা করে লোডশেডিং চলছে। এটা হলো নেসকোর কাগজে কলমের হিসাব। কিন্তু কোন কোন এলাকায় বৃহস্পতিবার ২ বারের বেশি লোডশেডিং ছিল।
এ দিকে তীব্র তাপপ্রবাহতে বোরোসহ সকল ফলস হুমকির মুখে পড়েছে বলে জানান বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মতলুবুর রহমান। তিনি জানান কিছু ধান পেকেছে, কিছু ধানে দুধ হয়েছে। আবার বেশ কিছু ধানের শীষ বের হচ্ছে। যে সকল ধান বের হচ্ছে এবং যেগুলোতে দুধ হতে শুরু করেছে সেগুলো বেশ হুমকির মুখে আছে। তাপ প্রবাহ অব্যাহত থাকলে ধানে চিটা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কৃষকদের পরমর্শ দেয়া হচ্ছে যে, বিঘাতে ৫ কেজি পটাশ ছিটিয়ে দেয়ার জন্য । অথবা ১০ লিটার পানিতে এমওপি পাতায় ছিটিয়ে দেয়ার জন্য।
তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় বগুড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের গার্ড বাতেস আলী হিটস্ট্রেকে মূর্চ্ছা গেলে তাকে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।