অক্টোবর ১৪, ২০২৫ ১১:৩৭ পিএম

দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে শেরপুরে জোড়গাছা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিরুদ্ধে

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার জোড়গাছা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, অবৈধ উপায়ে পরীক্ষা পরিচালনা এবং সরকারি সাবমার্সিবল পাম্প বিক্রয়ের মতো গুরুতর অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। এ নিয়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও একাডেমিক সুপারভাইজার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। 

প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছিল, সেগুলোর তদন্তে স্থানীয় প্রশাসন গুরুতর অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে: বিদ্যালয়ের বিভিন্ন খাতে আর্থিক লেনদেনে বড় ধরনের অনিয়ম ও হিসাবের গরমিল পাওয়া গেছে। বিধি-বহির্ভূত ও অবৈধ উপায়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা পরিচালনা, সরকারিভাবে পাওয়া সাবমার্সিবল পাম্প অবৈধভাবে বিক্রি করে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।

প্রধান শিক্ষকের এই কর্মকাণ্ডের ফলে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগগুলোর সত্যতা মেলার পর এবার জমি দাতা সদস্যদের নিকট থেকে জমি এগ্রিমেন্ট ও স্কুল উন্নয়নের নামে বড় অঙ্কের টাকা আত্মসাতের নতুন অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন চাঁন বলেন, দাতা সদস্য গোলাম রব্বানীর নিকট থেকে প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম জমি দাতা সদস্যদের নিকট জমি এগ্রিমেন্টের কথা বলে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন। কিন্তু এই টাকা তিনি বিদ্যালয়ের তহবিলে জমা না দিয়ে সম্পূর্ণভাবে পকেটস্থ করেছেন। এছাড়াও, তিনি স্কুল উন্নয়নের নামে আরও ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

দাতা সদস্য গোলাম রব্বানী বলেন, প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম জমি এগ্রিমেন্টের জন্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। আমরা টাকা দিয়েছি কিন্তু তিনি সেই টাকা স্কুলে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।

প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিমকে দ্রুত তার পদ থেকে অপসারণ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন। তাদের দাবি, বিদ্যালয়টিকে এই ভয়াবহ আর্থিক ও প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা থেকে মুক্ত করে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে, যদিও তদন্ত কমিটির রিপোর্টে কিছু অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে।

শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম বলেন, কিছু অভিযোগ প্রমানিত হয়েছে। রিপোর্টও দেওয়া আছে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print