ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়েখে চরমোনাই বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বিভিন্নভাবে অধিকার বঞ্চিত হয়েছে। শোষণ ও বঞ্চনার শিকার। শাসক গোষ্ঠী কখনো সোনর বাংলা, কখনো ডিজিটাল বাংলা গড়ার কথা বলে কোটি কোটি টাকা লোপাট করেছে। যারা ক্ষমাতায় ছিল সবাই মুদ্রার এপিট-ওপিট। গত ৫ আগস্টের আগে যে চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি ছিল তা বন্ধ হয়নি। ঘুষ ও দুর্নীতির পরিবর্তন হয়নি শুধু লোকের পরিবর্তন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে বাসষ্ট্যান্ড মহাসড়কে ইসলামী আন্দোলন শেরপুর উপজেলা শাখার আয়োজনে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতারের দাবিতে অনুষ্ঠিত গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার গণবিপ্লবে ফ্যাসিসকে সরানো হয়েছে। বৈষম্য যায়নি। তাই ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা, রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনায় শান্তি ফিরে আসবে। এজন্য ইসলামী রাষ্ট্র গঠনে সকলে এগিয়ে আসতে হবে।
ইসলামী আন্দোলন শেরপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মাও: মোকাল্লেম হোসেন ওসমানীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নায়েবে আমীর আল্লামা আব্দুল হক আজাদ, এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি মাও: আ.ন.ম মামুনুর রশীদ, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মুহা. শফিকুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মাও: মুফতী মহিব্বুল্লাহ, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের বগুড়া জেলা সভাপতি মাও: আব্দুল মতিন, শেরপুর শাখার সহ-সভাপতি আলহাজ¦ ইমরান কামাল, যুব আন্দোলনের সভাপতি এম আলিফ হোসাইন, ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি হাফেজ ইব্রাহিম খলিল।
ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ শেরপুর উপজেলা শাখার যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাও: আব্দুল মজিদ ও মুফতি ফাহিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন শেরপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মীর মাহমুদুর রহমান চুন্নু, সাংগঠনিক সম্পাদক আমজাদ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, প্রশিক্ষন সম্পাদক আবুল বাসার, ইসলামী যুব আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মুহা: ওমর ফারুক, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ শেরপুর শাখার সভাপতি মাও: আতাহার আলী, সাধারণ সম্পাদক মাও: আতিকুর রহমান, পৌর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আওয়াল, ছাত্র যুব বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান বাবুসহ যুব, শ্রমিক, ছাত্র ও জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
