আগস্ট ১৬, ২০২৫ ১০:০৫ পিএম

নওগাঁয় শ্রী শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসবে শোভাযাত্রা

Oplus_16777216
Oplus_16777216

“ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার” শ্লোগানে যথাযোগ্য মর্যাদায় নওগাঁয় মহাবতার ভগবান শ্রী শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসব উদযাপন করা হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে শনিবার (১৬ আগষ্ট) সকাল ১০ টায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ পূজা উৎযাপন পরিষদ নওগাঁ জেলা শাখা এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এর আগে দেশবাসীর কল্যাণ কামনা করে সর্বজনীন প্রার্থনা করা হয়। এবং জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি চিত্তরঞ্জন সাহার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ নুরে আলম সিদ্দিকী ও আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) এর অধ্যক্ষ ব্রজরাজ কৃষ্ণদাস ব্রক্ষ্মচারী।

এরপর এদিন সকালে জেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ চন্দ্র সরকার ও পৌর শাখার সভাপতি পিযুষ কান্তি সরকারের নেতৃত্বে শোভাযাত্রাটি শহরের ব্রীজের মোড় শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ জিউ ঠাকুরবাড়ী মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে বাটার মোড় দিয়ে গোস্তহাটির মোড়, বুড়া কালিতলা মন্দির হয়ে কাঠহাটি, ডাবপট্টি, কাপড়পট্রি মোড় দিয়ে পুনরায় জিউ মন্দিরে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় জেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ চন্দ্র সরকারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, পৌর শাখার সভাপতি পিযুষ কান্তি সরকার, সাধারণ সম্পাদক পুলক সরকার, সদর উপজেলা শাখার সভাপতি মাধব চন্দ্র কর্মকারসহ প্রমুখ। এসময় জেলা শাখার প্রচার সম্পাদক অম্লান সাহা, সহ-প্রচার সম্পাদক স্বপন দাস, সমাজ কল্যান সম্পাদক বাদল চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক প্রাণতোষ সাহা, কোষাধ্যক্ষ কেশব চন্দ্র রায় এবং রাধা গোবিন্দ জিউ মন্দির কমিটির দপ্তর সম্পাদক সুবল চন্দ্র মন্ডল।

শোভাযাত্রায় বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা সহস্রাধিক হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী পুরুষ শিশু কিশোর ভক্তবৃন্দ ঢাক-ঢোল ও নানা বাদ্যযন্ত্র সহ ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে অংশ গ্রহণ করেন। এছাড়াও আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) এর সদস্যরা ঢোল ও করতাল বেজে আনন্দ উৎসব করেন।

হিন্দু ধর্মবালম্বীদের মতে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণ পক্ষের অষ্টমী তিথিতে দুষ্টের দমন, শিষ্টের পালন এবং ধর্ম রক্ষার লক্ষে মহাবতার ভগবান রূপে জন্মগ্রহন করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। মানুষে মানুষে অকৃত্রিম ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তোলাই ছিল শ্রীকৃষ্ণের ভাবধারা ও আদর্শ।

বক্তারা বলেন, ‘যখন কংশরাজের অন্যায় অত্যাচার বৃদ্ধি পেয়েছিল, ঠিক সে সময় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব হয়েছিল। আবার অবতারদের আগমনে সে অত্যাচারীদের পতনও হয়। অত্যাচারীদের বিনাশ করেছিল। কংশরাজ জানতেন, তার নিকট আত্মীয় বা ভগ্নিরগর্ভে যে পুত্র সন্তান জন্ম নিবে (ভাগ্নে) সে তাকে ধ্বংশ করবে। তাই বোন দেবকি ও তার স্বামীকে কংশরাজ মথুরার কারাগারে বন্দি করে দেবকির ৭টি সন্তানকে জন্মের পরেই হত্যা করে। অষ্টম গর্ভের সন্তান এই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। তিনিই ধ্বংশ করেছিলেন কংশরাজকে। প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শান্তি।

অপর দিকে সন্ধ্যায় বিভিন্ন মন্দির ও আশ্রমে কৃষ্ণ পূজা, ভাগবত পাঠ ও শ্রীকৃষ্ণের বন্দনা সহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন ও প্রসাদ বিতরন করা হয়।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print