মে ১৯, ২০২৪ ১২:২৫ পিএম

নওগাঁয় ৪ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত

নওগাঁর নিয়ামতপুরে এবার আওয়ামী লীগের চার প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন। প্রতীক বরাদ্দের পরও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে ফেসবুক লাইভে এসে উপজেলা চেয়ারম্যান ওই চারজন পদপ্রার্থী নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন।

মঙ্গলবার (০৬ মে) সকালে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে জাহিদ হাসান বিপ্লব ও আবেদ হাসান মিলন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা নিশ্চিত করেন।

এর আগে, রবিবার (০৫ মে) সন্ধ্যায় আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ ও শ্রী ঈশ্বর চন্দ্র বর্মন ফেসবুক লাইভে এসে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।

নির্বাচন বর্জনকারী প্রার্থীরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র সহ- সভাপতি শ্রী ঈশ্বর চন্দ্র বর্মন, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বিপ্লব এবং নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আবেদ হোসেন মিলন।

গত ২ মে প্রতীক বরাদ্দের পর আবুল কালাম আজাদ কাপ পিরিচ প্রতীক, শ্রী ঈশ্বর চন্দ্র বর্মন ঘোড়া প্রতীক, জাহিদ হাসান বিপ্লব হেলিকপ্টার প্রতীক ও আবেদ হাসান মিলন আনারস প্রতীক পেয়েছিলিন। প্রতীক বরাদ্দের পর তারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগ চালিয়েছেন।

ফেসবুক লাইভ ও লিখিত সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন করতে আমরা ইতিমধ্যে সব প্রস্ততি সম্পন্ন শেষ করেছি। সরকার ও আওয়ামী লীগ দলের নির্দেশে এবং খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপির ভাবমূর্তি ও সম্মান রক্ষা করার জন্য সবসময় তাকে নিরপেক্ষ রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু একটি প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ও তার কর্মী সমর্থকরা আইন ও নির্দেশ অমান্য করে খাদ্যমন্ত্রী ও তার পরিবারের নাম ব্যবহার করছে। আমাদের বিভিন্ন ভাবে ভয় ভীতি দেখিয়ে তারা নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় অধিকাংশ নেতাকর্মীরা ইচ্ছার বিরুদ্ধে ওই প্রতিদ্বন্দ্বির পক্ষে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। এমনকি ইউপি চেয়ারম্যানগর্ণকে বাধ্য করা হচ্ছে ওই পক্ষের হয়ে কাজ করতে। তাছাড়া টিসিবি, ভিজিডি, ভিজিএফ বয়স্ক ও বিধবা ভাতা থেকে তাদের বঞ্চিত করা হবে। এমত অবস্থায় নিয়ামতপুর উপজেলার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা এবং দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে হানাহানি ও দ্বন্দ্ব ইত্যাদি রক্ষায় আমরা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলাম।

উল্লেখ্য, নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছিলেন। মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই শেষে ছয় জন প্রার্থীই প্রতীক পেয়েছিল। এখন নির্বাচনী মাঠে রইলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহরাব হোসেন।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print