ডিসেম্বর ১, ২০২৫ ৮:২৮ পূর্বাহ্ণ

নওগাঁ হাসপাতালে দুদকের অভিযান, মিলেছে অনিয়ম

Oplus_16908288
Oplus_16908288

বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদুক)। 

বুধবার (১৮ জুন) বেলা ১১ টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত টানা আড়াইঘন্টা হাসপাতালটিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

হাসপাতালে দালাল দৌরাত্ম্য, ওষুধ কালোবাজারি, খাবারে অনিয়ম এবং ডাক্তারদের সময়মতো না আসাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে নওগাঁ দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মেহবুবা খাতুন রিতার নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। ।

দুদুকের এই অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন হাসপাতালে আসা সেবা গ্রহীতারাসহ অনেকেই। সেইসঙ্গে এমন অভিযান নিয়মিত পরিচালনার দাবি জানিয়েছেন তারা।

ছেলেকে চিকৎসা করাতে আসা সুমি আক্তার নামের এক সেবাগ্রহীতা বলেন, হাসপাতালে ছেলেকে ভর্তি করিয়েছি ৫ দিন দিন হচ্ছে। এখনো খাবার পাইনাই। আমাদের বাড়ী দূরে হওয়ায় হোটেল থেকে খাবার কিনে খেতে হচ্ছে। যারা খাবার বিতরণ করতে আসে, তারা দেখে দেখে খাবার দেয়। সবাইকে খাবার দেয় না। দুদকের এমন অভিযান নিয়মিত পরিচালনা হলে হাসপাতাল গুলোর দুর্নীতি কমে আসবে।

চিকিৎসা নিতে আসা আরেক সেবাগ্রহীতা আব্দুস সবুর বলেন, ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে বাড়ীতে এসেছি। গত ৩ আগে ডায়েরিয়ার সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। এই ৩ দিনে কোন খাবার পাইনাই। আজকে সকালে একটা কলা, রুটি এবং ডিম দিয়েছে। তাছাড়া সব খাবার বাইর থেকে কিনে খেতে হচ্ছে। ডাক্তাররাও আমাদেরকে সময়মত ভিজিট করতে আসেনা।

অভিযানের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত কার্যালয় নওগাঁর উপসহকারী পরিচালক মেহবুবা খাতুন রিতা বলেন, হাসপাতালে বরাদ্দের চেয়ে কম খাবার পরিবেশন,ওষুধ কালোবাজারি, হাসপাতালের সরকারি টেন্ডারে বিশেষ শর্ত জুড়ে দেওয়া এবং চিকিৎসকদের সময়মতো না আসাসহ কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে খাবারে অনিয়ম এবং চিকিৎসকদের সময়মত না আসার প্রমাণ মিলেছে। সরকারি টেন্ডারের কিছু নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। নথিপত্র গুলো পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পাঠানো হবে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নওগাঁ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী বলেন, দুদক কিছু অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করেছে। আমাদের এই হাসপাতালটি ২৫০ শয্যা হলেও এখনো বরাদ্দ আসে ১০০ শয্যার। যার কারণে সব রোগীকে আমাদের পক্ষে খাবার দেওয়া সম্ভব হয়না। ডাক্তারদের সময়মত না আসার ব্যাপারে কিছু ত্রুটি বিচ্চুতি রয়েছে। এ ব্যাপারে উনারা যে নির্দেশনা দিয়েছে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print