বাংলাদেশ রসায়ন শিল্প সংস্থার (বিসিআইসি) বগুড়ার বাফার গুদামে নকল সন্দেহে ১৭ ট্রাক খালাস বন্ধ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে মঙ্গলবার সারগুলো পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। আগামী ৩ দিনের মধ্যে সারের ব্যাপারে পদক্ষেপের নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তারা।
সোমবার দিবাগত রাতে ১০ ট্রাক টিএসপি সার আটক করা হয়। এর আগে রোববার দিবাগত রাতে সাত ট্রাক সার খালাস বন্ধ করা হয়েছিল। নকল বা ভেজাল মেশানো আছে এই সন্দেহ সারগুলো আটক করা হয়েছে।এ তথ্য নিশ্চিত করেন বগুড়া বাফার গুদাম ইনচার্জ মো. মোস্তাফা কামাল।
বাফার সূত্র বলছে, রোববার দিবাগত রাত তিনটার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গার টিএসপি সার কারখানা থেকে সাতটি ট্রাক বগুড়ায় পৌঁছায়। ট্রাকগুলো ৯৮ হাজার কেজি টিএসপি সার আসে। প্রতিটি ট্রাকে ২৮০ টি বস্তা সার রয়েছে। সোমবার সকালে ট্রাক থেকে ২৪ বস্তা সার নামানো হয় পরীক্ষার জন্য। এ সময় সারগুলো নকল ও ভেজাল মনে হয় কর্তৃপক্ষের কাছে। এরপর সারসহ সাতটি ট্রাক আটক করে রাখা হয়। পরবর্তীতে সোমবার দিবাগত রাতে একই স্থান থেকে আরও দশ ট্রাক সার আছে। সেগুলোও নকল সন্দেহে খালস বন্ধ রাখা হয়েছে। পরে আসা ওই দশ ট্রাকে ১৪০ মেট্রিক টন সার আছে।
বাফার গুদাম ইনচার্জ মোস্তফা কামাল বলেন, বিষয়টি চট্টগ্রাম টিএসপি সার কারখানা কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। সারগুলো পরীক্ষা করার জন্য চট্টগ্রাম থেকে তিন সদস্যের একটি টিম বগুড়ায় এসেছে। পরীক্ষার পর সারগুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যাবে।
সারগুলো পরীক্ষার জন্য তিনজন বিশষ্টি একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। পণ্যগুলোর অমিল ও ভিন্নতা পাওয়ার অভিযোগে খালাস বন্ধ করা হয় বলে জানা গেছে। তদন্ত কমিটির সদস্যরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জানতে পারবেন সারগুলো আসলেই নকল কিনা?
তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন, বাফার ব্যবস্থাপক (প্রসাশন) মো: মাজহারুল ইসলাম, সহকারি ব্যবস্থাপক মো: আওয়াল এবং উপ-প্রধান (রসায়বিদ) রেজাউল হক।
তিনি আরও জানান, সারগুলোর পরিবহন করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এমএইচআর করপোরেশন।
এসিএন/বিআর
