বগুড়ার নন্দীগ্রামে শহীদ সোহেলের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তার আত্নার মাগফেরাত কামনা করে কবর জিয়ারত ও মোনাজাত করলেন নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রশাসন।
৫আগস্ট মঙ্গলবার সকাল ৯টায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদ সোহেলের কবরে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন,
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসা. লায়লা আঞ্জুমান বানু, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রোহান সরকার,উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ গাজিউল হক, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ড. তোফাজ্জল হোসেন, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কল্পনা রানী রায়, নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাহারুল ইসলাম, কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নির্মল চন্দ্র, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার সরদার মোঃ ফজলুল করিম, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এসএম সারোয়ার জাহান, উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসার রবিউল ইসলাম, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার গোলাম মোস্তফা, উপজেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক অফিসার সুলতানা আক্তার বানু,, সমবায় অফিসার ঝর্না রানী দেবনাথ, নির্বাচন অফিসার বাবু হক, সাংবাদিক মনিরুজ্জুমান মনির ও সাংবাদিক মামুন আহমেদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বিজয় মিছিল নিয়ে গণভবনে যাওয়ার পথে ৫ আগস্ট পুলিশের গুলিতে নিহত হন বগুড়ার নন্দীগ্রামের ভুস্কুর গ্রামের সোহেল রানা।
নিহত সোহেল রানা (৩০) বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার ৫নং ভাগ্রাম ইউনিয়নের ভুস্কুর গ্রামের ফেরদৌস রহমানের ছেলে।
সোহেল ঢাকা রায়েরবাগে থেকে ছোট একটা কোম্পানিতে স্বল্প বেতনে চাকরি করতেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কোটা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কারণে কোম্পানি বন্ধ থাকায় সবার সঙ্গে আন্দোলনে বের হয়েছিল সোহেল। ৫ই আগস্ট বিকাল ৩টায় পুলিশের গুলি সোহেলের বুকে এসে লাগলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সন্ধ্যায় সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
