রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) ভোটার তালিকায় (২০২৪ – ২৫) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করতে বারবার প্রশাসনের কাছে দাবি জানালেও প্রশাসন এ ব্যাপারে ব্যবস্হা না নিলে রাকসু নির্বাচন কার্যালয়ে অবস্হান শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে রাবি ছাত্রদল।
রোববার (৩১ আগস্ট) সকাল থেকে শুরু হয়ে দিনভর রাকসুর কোষাধ্যক্ষ কার্যালয়ে শান্তিপূর্ণ অবস্হান করে ছাত্রদল । কিন্তু বেলা গড়িয়ে রাকসু ভবন উত্তপ্ত হতে থাকে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে প্রবেশ করে ক্যাম্পাসে মব সৃষ্টি করে একটি পক্ষ।
২০২৪ – ২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা রাকসু ফ্রি দিয়েছি আমরা নির্বাচনে আমাদের পছন্দ মতো প্রতিনিধি নির্বাচন করবো। কিন্তু ছাত্রদল ছাড়া আমাদের এ দাবি কে কোনো ছাত্রসংগঠন গুরুত্ব দিচ্ছে না। আমাদের দাবি হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আমাদের সেশনের হয়ে ভোট দিতে পারছে এবং কয়েক জন প্রতিনিধি করছে তাহলে আমরা কেনো বৈষম্যের শিকার হবো। এটা জুলাই আন্দোলনের পরে মেনে নেওয়া যায় না।
এ সময় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সর্দার জহুরুল ইসলাম দিনকালকে জানান , আমরা দীর্ঘদিন ধরে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি করছি। তারা আমাদের দাবি মানছেই না। তারা রাকসুর ফি দিয়েছে কিন্ত তারা ভোটার হতে পারছে না। আমরা এই বৈষম্য নিরসন করেই কর্মসূচি শেষ করব। তাদের কে ভোটতালিকায় যুক্ত করা হলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। কিন্তু গুপ্ত শিবির আমাদের এই শান্তিপূর্ণ অবস্হান কে তারা বাঁধাগ্রস্হ করছে আমরা তাদের বলে দিতে চাই যারা শিক্ষার্থীদের ভোটার অধিকার কেড়ে নিতে চায় এ অপসংস্কৃতিকে রুখে দিবো।
রাবি ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সব সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে আছে থাকবে আমরা চাই সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে রাকসু নির্বাচন হোক এটা আমরা শুরু থেকে বলে আসছি। আজকে আমরা রাকসু নির্বাচন কমিশনার কার্যালয়ে অবস্থান করছি যতক্ষণ নবীন শিক্ষার্থীদের ভোটার তালিকায় যুক্ত করার ঘোষণা না আসছে আমরা আমাদের অবস্থান বজায় রাখবো। শিক্ষার্থীদের ব্যানারে গুপ্ত বাহিনী প্রবেশ করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বাজে ভাবে হেনস্তা করছে আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়।
এই কর্মসূচিকে একাগ্রতা জানিয়ে ইউট্যাব রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ফোকলোর বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ভোটার তালিকায় প্রথম বর্ষ ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এখানে ছাত্রদল এই দাবিতে কর্মসূচি পালন করছে। আমরা তাদের দাবিতে সংহতি জানাই।
