প্রতিনিয়ত ভেজাল খাবার খাওয়ার কারণে নারীদের শরীরে যেমন রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে অপরদিকে নারীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যাচ্ছে। যার ফলে কোন রোগীকে দীর্ঘদিন চিকিৎসা দেয়ার পরেও সে সুস্থ্য হবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা থেকেই যায়।
বিশেষ করে খাদ্যাভাস, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, পরিশ্রম না করার অভ্যাস, আবহাওয়া অনেকাংশে দ্বায়ী বর্তমান সময়ে নারীদের শরীরে একাধিক রোগের সৃষ্টি হওয়া এবং হরমন জনিত রোগের সমস্যা বেড়ে যাওয়া।
পূর্বের দিনগুলোতে মা, দাদীরা অনেক পরিশ্রম করতেন। আবার এক পরিবারেই একজন নারী হয়েও অনেক সন্তানের জন্ম দিতেন এবং তা নরমাল ডেলিভেরির মাধ্যমে। কিন্ত এখনকার নারীদের ধর্য্য কম এবং তাঁরা নরমাল ডেলিভেরির মতো বাড়তি ঝামেলা সহ্য করার ধৈর্য রাখে না। যার কারণে সিজারের মাধ্যমে বাচ্চা প্রসব করানোকেই বেশি উপযোগী মনে করেন তাঁরা।
আবার অনেকেই আছেন সিজার করাকেই বেশি সেফ মনে করেন। কিন্ত সিজারের ফলে শরীরে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত শারীরিক প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যায়। এতে করে বেশিরভাগ সময় নারীদের শরীর ফুলে যায়। অপরদিকে যে সকল প্রসূতি মাতৃত্বের প্রথম দিক থেকেই মানসিকভাবে প্রস্ততি রাখেন নরমাল ডেলিভারির জন্য তাদের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি অনেকাংশেই সহজ হয়।
বর্তমানে নরমাল ডেলিভারিতে বাচ্চা প্রসব না হওয়ার কারণঃ
নরমাল ডেলিভারী না হওয়ার আরেকটি কারণ হলো ডাক্তারদের প্রশিক্ষণের অভাব। বেশিরভাগ হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারি কেয়ার সেন্টার নেই এবং সে বিষয়ে প্রশিক্ষণের অভাব হওয়ার কারণে এ পদ্ধতিতে ডেলিভারি করানো আর সম্ভব হয়না।
ডাক্তারদের হীনমনতা ও রোগীর ঝুকিঃ
ডাক্তার সর্বদায় চেষ্টা করেন রোগীদের সার্বিক দিক বিবেচনা করে সঠিক চিকিৎসা দেয়ার। তবে এর মধ্যে কিছু ডাক্তার আছেন যারা ঠিকমতো রোগীদের দেখতে চায় না। হয়তো তাদের রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি থাকে বিধায় প্রতিটি রোগীকে যতদ্রুত সম্ভব দেখে রোগীর সাথে ভালো মন্দ কোন বিষয়ে আলোচনা না করেই চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। এতে করে রোগীদের রোগ সেরে ওঠার বিপরীতে আরেক প্রকার রোগের জন্ম হয়। এতে করে স্বাস্থ্য ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়।
এছাড়া নরমাল ডেলিভারি করতে রোগীকে অনেক সময় দিতে হয় ব্যাথা ওঠা পর্যন্ত। কিন্ত সেই দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার মতো সময় থাকে না ডাক্তারদের হাতে। ফলে তাঁরা সিজার করে বাচ্চা ডেলিভেরি করাতেই বেশি আগ্রহী হয়।