মুসলমানদের মহাপবিত্র গ্রন্থ আল কোরআন। এবার পাকিস্তানে তৈরি করা হচ্ছে স্বর্ণাক্ষরে লেখা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কোরআন। এতে ব্যবহার করা হচ্ছে দুই’শ কেজি সোনা। পাশাপাশি আরও ২ হাজার কেজি অ্যালুমিনিয়াম। সম্প্রতি এমন খবর প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ।
গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ কাজটির নেতৃত্বে আছেন পাকিস্তানের বিখ্যাত চিত্রশিল্পী ও ভাস্কর শাহিদ রাসাম। ২০১৬ সালে তিনি এটির কাজ শুরু করেছেন। যা শেষ হতে আরও দুই বছর লাগবে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দেশটির করাচি প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

শাহিদ রাসামের জানান, কোরআনটির প্রতি পাতার দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৬ মিটার মিটার ও প্রস্থ ২ মিটার। এমন মোট ৫ শত ৫০ পাতায় ৮০ হাজার শব্দ থাকবে। আয়াতের শব্দগুলো খোদাই করা হবে ধাতু দিয়ে, কাগজের বদলে থাকবে ক্যানভাস।
জানা গেছে, প্রথমে কাজটি একা শুরু করলেও পরবর্তীতে কাজে গতি আনতে আরও দুই’শ তরুণ যোগ দেন। এই দলটিতে ক্যালিগ্রাফার, নকশাবিদ, চিত্রশিল্পী ও ভাস্করও রয়েছে। কাজ শেষ হলে কোরআনটি বিশেষ কোনো জাদুঘরে প্রদর্শন করার পরিকল্পনা রয়েছে শাহিদের। সেই লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার সহায়তা চেয়েছেন এই শিল্পী।
এদিকে, এরই মধ্যে কোরআনের ‘সুরা আর রহমান’ অংশ মুদ্রণের কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন শাহিদ রাসাম। তিনি বলেন, এটি এখন দুবাই এক্সপোর পাকিস্তান প্যাভিলিয়নে প্রদর্শন করা হচ্ছে।