নওগাঁর পোরশা উপজেলার রাস্তা সহ বিভিন্ন স্থানে প্রায় রাতেই হচ্ছে ডাকাতি। ডাকাতি বন্ধে প্রশাসনের নেই কোন ভূমিকা। প্রতিনিয়ত চারিদিকে ডাকাতি ও চুরির ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী।
জানাযায়, ডাকাতরা সড়কে গাছ ফেলে যানবাহনের পথরোধ করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে যাত্রীদের নিকট থেকে সর্বস্ব লুট করে নিচ্ছে। বাজার ও মোড়ের দোকানপাটের তালা ভেঙে দোকানে থাকা মালামাল লুট করে নিচ্ছে। রাতের বেলা ব্যবসায়ীরা বাড়ি ফেরার পথে পথরোধ করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিচ্ছে। এমন ঘটনা এখন উপজেলার চারিদিকে। ডাকাত আতঙ্কে রাত কাটচ্ছে ব্যবসায়ী, পথচারী ও সাধারন মানুষ। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার সারাইগাছী-আড্ডা আঞ্চলিক মহাসড়কের মোশানতলা মোড় হতে বন্ধুপাড়া মোড় পর্যন্ত ৭ কিলোমিটারের মধ্যে ৩টি স্থানে ডাকাতরা গাছ ফেলে পথরোধ করে বিভিন্ন যানবাহনে ডাকাতি করে। একই রাতে এই ৭ কিলোমিটারের মধ্যে বেজোড়া মোড়ের তিন নাইট গার্ডদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ১৮টি দোকানের মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতদল। এর আগে রোববার দিবাগত রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে ডাকাতির ঘটনাটি ঘটেছে সারাইগাছী-আড্ডা সড়কের মোশানতলা মোড়ে। সেখানে একটি গাছ ফেলে উভয় দিক থেকে আসা বিভিন্ন যানবাহনের পথ রোধ করে যাত্রীদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোনসহ কাছে থাকা মালামাল নিয়ে গেছে ডাকাতদল। অনেকে তাদের মালামাল দিতে না চাইলে মেরে আহত করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসীর জানান, উপজেলার মোশানতলা মোড়ে অনেক দিন ধরেই ডাকাতির ঘটনা ঘটে আসছে। সন্দার পরে প্রায় রাতে ২টা পর্যন্ত ডাকাতি হয়। ডাকাতি রোধে পুলিশ প্রশাসনের কোন ভূমিকা নেই। বিশেষ করে থানা পুলিশের ভূমিকা দেখে হতাশ এলাকাবাসী। ডাকাতি শেষে হলে পুলিশ এসে হাজির হয় বলে জানালেন অনেকে। গত সপ্তাহে উপজেলার ঘাটনগর ইউপির তাঁতিপাড়া বাজারের মুদিখানা ব্যবসায়ী আলমঙ্গীর হোসেন রাত ৮টার সময় দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় তার পথরোধ করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি ও মারধর করে তার কাছে থেকে ৪২হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় ডাকাতদল।
বেজোড়া মোড়ের ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী হুমায়ন কবির ও রাজিবুল হাসান এবং মুদিখানা ব্যবসায়ী জাকারিয়া জানান, তাদের এই মোড়ে মাঝে মধ্যেই ডাকাতি হয়। বুধবারের ডাকাতির ঘটনায় ১৮টি দোকানের কয়েক লক্ষাধীক টাকার মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে গেছে ডাকাতের দল বলে তারা জানান।
এ ঘটনা অবগত হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার সাফিউল সারোয়ার বিপিএম, সাপাহার সার্কেলের এএসপি শ্যামলী ও পোরশা থানার অফিসার ইনচার্জ মিন্টু রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।