মাসুদ নামের এক যুবকের প্রেমের টানে নওগাঁর সাপাহার সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে এক ভারতীয় কিশোরী।
গত বুধবার দুপুর আনুমানিক ১টার দিকে উপজেলার বামন পাড়া বিওপি সীমান্ত পিলার ২৪৫/সি এস এলাকা দিয়ে কিশোরীটি বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
বিজিবি সদস্যরা তাকে আটক করে সাপাহার থানায় হস্তান্তর করেছেন। এ ঘটনায় সীমান্ত আইনে সাপাহার থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বর্তমানে কিশোরীটির ঠাঁই হয়েছে থানা হেফাজতে।
জানা গেছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার বাবনগোলা থানার কাশেমপুর গ্রামের নুপুর সরকার (১৬) নামের ওই কিশোরীর সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও মেসেঞ্জারের মাধ্যমে বাংলাদেশি সাপাহার উপজেলার ঘাসডাঙ্গা গ্রামের আফজাল এর ছেলে যুবক মাসুদের পরিচয় হয়। পরে মাসুদ ভারতে কাজ করতে গেলে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়।
ওইদিন দুপুরে প্রেমিক মাসুদের সঙ্গে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করে কিশোরীটি। তবে ভারতের
সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ সদস্যরা তাদেরকে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। নুপুর ও প্রেমিক মাসুদ বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশ করলে বামন পাড়া বিওপির বিজিবি সদস্যরা তাদেরকে ধাওয়া দেয়। প্রেমিক মাসুদ পালিয়ে গেলে কিশোরী নুপুর আটকা পড়েন।
বিজিবি সূত্র জানা যায়, ঘটনার পরপরই পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মেয়েটিকে ভারতে ফেরত পাঠানোর জন্য বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করলে বিএসএফ মেয়েটিকে গ্রহণ করতে অস্বিকৃতি জানান। পরে সন্ধ্যায় বিজিবি সদস্যরা মেয়েটিকে সাপাহার থানায় হস্তান্তর করে সীমান্ত আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
দাখিল কৃত মামলার এজাহার বাংলাদেশী শুধু কিশোরীকেই থানা হাজতে জমা দিয়েছে। থানায় মেয়েটি গণমাধ্যমকর্মীকে জানান, তিনি ভারতের পাকুয়া কলেজে একাদশ শ্রেণীতে অধ্যায়ন করেন এবং প্রেমের টানেই তিনি মাসুদ এর সাথে বাংলাদেশে এসেছেন। কিন্তু বিএসএফ, বিজিবির মাঝখনে পড়ে মাসুদ তাকে একা ফেলে পালিয়েছে। বিজিবি সদস্যরা মাসুদকে আটকের জন্য জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন এমনটি বৃহস্পতিবার সকালে ঘন্টাকাল ব্যপী তার গ্রামের বাড়ী ঘাসডাঙ্গাতে বিজিবির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন বলেও গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন।
সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আজিজ জানান, বিজিবির মাধ্যমে মেয়েটিকে থানায় হস্তান্তরের পর সীমান্ত আইন অনুযায়ী একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বর্তমানে মেয়েটিকে থানায় রাখা হয়েছে এবং পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
