বগুড়ায় আবারো রোমহর্ষক জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৬ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার ইসলামপুর হরিগাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তিনজন নারী গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতরা হলেন—মৃত আব্দুল কুদ্দুসের স্ত্রী লাইলী বেগম (৭০) এবং পারভেজের স্ত্রী হাবিবা বেগম (২২)। আহত অপর নারীর নাম বন্যা (১৮)। তিনি বর্তমানে শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত বন্যার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
স্থানীয়দের মধ্যে কয়েকজন জানান, আহত বন্যার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী এলাকার মো: সোহেলের পুত্র মো: সৈকতে কয়েক মাস পূর্বে আহত বন্যাকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে বন্যা ও তার পরিবার তা প্রত্যাখ্যান করে। অতপর এ বিষয়ে গ্রামে বৈঠক বসলে ঘাতক সৈকত বন্যাকে আর এসব বিষয়ে উত্তক্ত করবে না বলে জানায়। এরপর দীর্ঘদিন কেটে গেলে আজ সৈকত তার সাথে কয়েকজন যুবক সহ বন্যার বাড়িতে আসলে বন্যা দৌড়ে ঘরে ঢোকে এবং তার দাদী লাইলী বেগম, নাত বউ হাবিবা বেগম ও বন্যা বাধা দিলে তাদেরকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করলে ঘটনাস্থলে আহত হয়। আহত অবস্থায় তাদেরকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে জরুরি বিভাগে ভর্তি করায় স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান বাসির জানান, “এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে পারিবারিক কলহ, জমি সংক্রান্ত বিরোধ কিংবা পূর্বশত্রুতা রয়েছে কি না, তা আমরা খতিয়ে দেখছি। ইতোমধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারে একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। নিহতদের মরদেহ শজিমেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।”