বগুড়ায় এক গৃহবধূর উপর পাশবিক হামলার অভিযোগ উঠেছে আপনজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলা দায়ের হয়েছে আসামী উল্লাস রহমান পলাশ (৪৮)-এর বিরুদ্ধে।
আসামী উল্লাস রহমান পলাশ (৪৮), চক সরতাজ, সুলতানপুর এলাকার জাহিরুল বারী সাকিদারের ছেলে। বর্তমানে তিনি শহরের রহমান নগর, জিলাদার পাড়ায় বসবাস করছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, পারিবারিক আত্মীয়তার সূত্র ধরে উল্লাস রহমান পলাশ প্রায়ই ভুক্তভোগীর বাড়িতে যাতায়াত করতেন। এই সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে অশোভন প্রস্তাব দিয়ে ভুক্তভোগীকে হয়রানি করছিলেন। পরিবারের শান্তি রক্ষার জন্য বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হলেও আসামীর নোংরা দৃষ্টি ও আচরণ থামেনি।
গত ১৩ জুন শুক্রবার দুপুরে সুযোগ বুঝে ভুক্তভোগীর বাবার বাড়িতে প্রবেশ করে উল্লাস রহমান পলাশ। একপর্যায়ে ভয়ঙ্কর কৌশলে তিনি গৃহবধূকে খাটে ফেলে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। হঠাৎ অপ্রস্তুত অবস্থায় চিৎকার শুরু করলে স্বামী ও স্বজনরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করেন। তখন আসামী দ্রুত পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী থানায় গেলে মামলা না নিয়ে আদালতে যেতে বলা হয়। শেষ পর্যন্ত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(৪)(খ)/১০০ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।
অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী বলেন, আমি অপমানিত হয়েছি, আমার সম্মানহানি হয়েছে। আমি চাই ন্যায়বিচার, যাতে আমার মতো আর কোনো নারী একই যন্ত্রণা না ভোগ করে।
সমাজের চোখে সাধারণ এক গৃহবধূর এই আর্তনাদ এখন আদালতের কাছে ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা হয়ে দাঁড়িয়েছে।