মে ১১, ২০২৪ ৫:২০ পিএম

বগুড়ায় বড়দিন উপলক্ষে উৎসবমুখর মিশন হাসপাতাল

বগুড়ায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে খ্রিস্টান ধর্মাবলীদের সবচাইতে বড় ধর্মীয় উৎসব বড় দিন উদযাপিত হয়েছে।

সোমবার (২৫-১২-২০২৩) সকাল ১০টায় বগুড়া শহরের মিশন হাসপাতলের খ্রিষ্টিয় উপসনালয়ে দিনটি পালিত হয়। এ সময় খ্রিষ্টান সম্প্র্দায়ের মানুষরা বিভিন্ন প্রার্থনা ও যীশু খ্রিষ্টের নাম স্মরণ করে বন্দনা করেন। তারা জানান,গত বছরের সকল দুঃখ কষ্ট ভুলে নতুন করে জীবন সাজাতে আগামী বছরকে স্বাগত জানাতে কেক কেটে বরণ করেন।প্রার্থনা শেষে ধর্মীয় আচার বিধি, যীশু খ্রীষ্টের জীবন কাহিনী ও বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা সভা হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন
বগুড়া পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।

এছাড়াও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আক্তার, বগুড়া খ্রিষ্টিয় মন্ডলীর ধর্মীয় গুরু গিলবার্ট মৃধা ও হাসপাতলের খ্রিষ্টিয় উপসনালয়ের সভাপতি রবার্ট রবিন মারান্ডী, সহ-সভাপতি মার্গারেট ঝুঁই, পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ আলহাজ শেখ, গীর্জার সাবেক পালক সৌরভ বিশ্বাসসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, এদেশে সকল ধর্মের মানুষ এক সাথে শান্তিতে বসবাস করছেন। এদেশের সংবিধানে সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকারের কথা বলা আছে। দেশের উন্নতি অগ্রগতির যাত্রাপথে যেনো কোনো বাধা না আসে সেই জন্য আমাদের এই অসাস্প্রদায়িক দেশে কোনভাবেই সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতি নষ্ট করতে দেয়া যাবে না।

তিনি আরোও বলেন, যিশুখ্রিষ্টের যে বাণীটি এসেছে, তা মানুষকে সঠিক পথে পরিচালনার জন্য, মানুষকে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হবার জন্য এবং বিশ্বমানবতার জন্য আমরা সবাই দায়িত্ব পালন করতে পারি সেই শিক্ষা তিনি আমাদেরকে দিয়েছে। যুগে যুগে যারা এ মর্তে এসেছেন তারা শান্তির কথা বলেছেন,মানব মুক্তির পথ দেখিয়েছেন, যিশুখ্রিষ্টের এই আদর্শ হৃদয়ে ধারন করে নিজেকে বিশ্ব মানব হিসাবে গড়তে হবে।

খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের মতে আজকের এই দিনে খ্রিষ্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট বর্তমান ফিলিস্তিনের বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতে প্রভু যিশুর পৃথিবীতে আগমন ঘটেছিল।

খ্রিষ্ট ধর্মানুসারীরা মনে করেন, কোনো পুরুষের স্পর্শ ছাড়াই যিশুখ্রিষ্টের জন্ম হয়েছিলো। তাই তিনি ঈশ্বরের পুত্র।

সারাবাংলাদেশের মত বগুড়াতেও খ্রিষ্টধর্মানুসারীরা আজ যথাযথ ধর্মীয় আচার, আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্যদিয়ে দিনটি উদযাপন করছেন।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print