মে ২০, ২০২৪ ৪:৪১ এএম

বগুড়ায় মসলার বাজারে ঝাল, দাম প্রায় দ্বিগুণ

মসলা। প্রতীকী ছবি
মসলা। প্রতীকী ছবি

আসন্ন কোরবানি ঈদ উপলক্ষে বগুড়া ফতেহ আলী বাজারে বেড়েছে মসলার দাম। তবে মসলার চাহিদা অনুযায়ী যোগান নিয়েকোন সঙ্কা না থাকলেও আমদানির ক্ষেত্রে পুরোনো অভিযোগ ডলার সংকটকেই দুষছেন ব্যবসায়ীরা।

শনিবার (২৪ জুন) বগুড়া ফতেহ আলী বাজারের দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায় প্রায় সব ধরনের মসলার দাম ঊর্ধ্বমূখী। খুচরাব্যবসায়ী ফিরোজ আহমেদ নর্থ ক্যাপিটাল নিউজকে বলেন, মাত্র দিনের ব্যবধানে সব ধরনের মসলার দাম বেড়েছে। তবেআমদানিকারকদের কাছে পর্যাপ্ত মসলা আছে। এনিয়ে কোন সংকট নেই।

আরেক ব্যবসায়ী মোঃ আশিক বলেন, ডলার সংকটের কারণে উচ্চ মূল্যে মসলা আমদানি করতে হচ্ছে যার প্রভাব পড়েছেপাইকারি খুচরা বাজারে। এছাড়া পরিবহন খরচ বেশি হওয়ার কারণে মসলার দাম বেড়েছে।

শনিবার বাজারে খুচরা পর্যায়ে জিরা বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকা কেজি। যা সপ্তাহ খানেক আগেও ছিলো ৮৫০ টাকা। দেশি আদাবিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা কেজিতে। যা সপ্তাহ খানেক আগেও ছিলো ২৮০ টাকা। হলুদ গুড়া কেজিতে ৬০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে৩০০ টাকায়, মরিচের গুড়া ১০০ টাকা বেড়ে কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়, প্যাকেটজাত মরিচের গুড়া কেজিতে ৭০০ টাকাকরে বিক্রি হলেও এখন ৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দারুচিনি ৪৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এখন ৪৬০ টাকা, শুকনামরিচ কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়, কাচা মরিচ কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, ২০২২ সালের ২২ জুন প্রতি কেজি জিরা সর্বনিম্ন ৩৮০ টাকা এবংসর্বোচ্চ ৪৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে জিরার দাম বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি।

অপরদিকে রসূনের দাম অপরিবর্তিত আছে। সেই সাথে বহুল আলোচিত ভারতীয় পেয়াজ নাকালের মধ্যেই আছে। খুচরা পর্যায়েভারতীয় পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। দেশি পেয়াজ পাইকারি ৭০ এবং খুচরা পর্যায়ে ৭৫ টাকা  কেজি দরে বিক্রিহচ্ছে।

কোরবানির ঈদের আগে অন্যান্য মসলাও স্বল্প আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে। দেশি পেঁয়াজ, শুকনা মরিচ, হলুদ, আদা, দারুচিনিসহ বেশির ভাগ মসলার দাম বেড়েছে।

এদিকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি ব্লকের সুভোন ঘোষ জানান, গত কয়েক দিন আগে ১৪ টাকা কিলো করে খুচরা বাজারেবিক্রি হয়েছে। দাম বেড়ে আজ ১৮ টাকা কিলো করে বিক্রি হচ্ছে।

তিনি আরও জানান,  মহারাষ্ট্র উত্তর প্রদেশ পান্জাব থেকে পিয়াজ বাংলাদেশে রফতানি করা হচ্ছে। দীর্ঘ পথ, ত্রিফল দিয়ে ঢেকে আনা পিয়াজ গরমে পথেই পচে যেতে শুরু করে। এছাড়াও কাষ্টমস ছাড় পেতে সময় লাগায় পিয়াজবাহী ট্রাককে অপেক্ষা করতে হয় দু-তিনদিন। এসব কারনেই গরমে পচে যাচ্ছে পিয়াজ।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print