আগামী ৫ আগষ্ট বগুড়ায় ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে’ ২৪’র জুলাই-আগষ্ট আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। সেই কারণে রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে শহরের সাতমাথায় প্রধান ডাকঘরের সামনে মুজিব ম্যুরাল ও মঞ্চ (যা পূর্বের মুজিব মঞ্চ) ভেঙে সেই স্থানে নির্মিত হচ্ছে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’।
এর আগে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে দুই দফা ম্যুরালটি ভাংচুর করে ছাত্র-জনতা। গত বছরের ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের দিন আংশিক ভাঙচুর করে ম্যুরালে। পরে ম্যুরালটিতে বগুড়ায় আন্দোলনে নিহত ১৭ জন শহীদদের নাম সেঁটে দেয় জাস্টিস ফর জুলাই বগুড়া।
এরপর জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে এই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণে পুরোপুরি ভাবে ভেঙে ফেলা হয় ম্যুরালটি। স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকা।
বগুড়া গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. ফারজানা আকতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা গণপূর্ত বিভাগ সুত্রে জানা যায়, দেশের ৬৪টি জেলায় জুলাই আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ নির্মাণ করা হচ্ছে। এটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। বগুড়া শহরের সাতমাথায় প্রধান ডাকঘরের সামনে গত ৬ জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন বগুড়ার সদস্য সচিব সাকিব খান বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান যেন এদেশের প্রতিটি মানুষের স্মৃতিতে জড়িয়ে থাকে সেই লক্ষ্যেই দেশের প্রতিটি জেলায় নির্মাণ হচ্ছে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’। এই স্মৃতিস্তম্ভের মাধ্যমে জুলাই আন্দোলনে বগুড়াসহ সারাদেশে যত শহীদ হয়েছে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।’
জেলা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. ফারজানা আকতার আরো জানান, সারাদেশের ন্যায় বগুড়াতেও জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজ চলছে। সারাদেশে একই বাজেটে এটি নির্মাণ করা হচ্ছে। গত ৬ জুলাই বগুড়ায় কাজ শুরু হয়েছে এবং আগামী ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে।
জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা বলেন, জুলাই শহীদদের স্মরণে বগুড়ায় জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজ চলছে। আগামী ৫ আগষ্ট সকালে জুলাই শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো হবে স্মৃতিস্তম্ভে।
