জুলাই ৯, ২০২৪ ৪:৪২ এএম

বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৫৬ সে:মি: উপরে; সারিয়াকান্দির ৭৮ হাজার মানুষ পানি বন্দি 

উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতি বৃষ্টিপাতে বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সারিয়াকান্দির বাঁধের পূর্ব পাড়ের ১৭ টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। ঐসব অঞ্চলের সাড়ে ২২ হাজার পরিবারের ৭৮ হাজার ৩২৩ জন মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।

এসব তথ্য জানান, জেলা ত্রান ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া।

জেলা প্রশাসক শুক্রবার নিজে বন্যা কবলিত এলাকার পানি বন্দি মানুষের মাঝে ত্রান বিতরণ করেছেন।

পানি উন্নয়ণ বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ন কবির জানান, শুক্রবার বেলা ৩ টায় যমুনার পানি সারিয়াকান্দি পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো। গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টায় সারিয়াকান্দি পয়েন্টে যমুনার পানি ৩২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। সারিয়াকান্দি পয়েন্টে পানি উন্নয়ণ বোর্ডের দেয়া যমুনার বিপদসীমা ১৬ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার। শুক্রবার বেলা ১২ টায় ৫৬ সেন্টিমিটার বন্যার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৬ দশমিক ৮১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মতলুবর রহমান জানান, শুধু সারিয়াকান্দিতে ১০৮৫ হেক্টর জমির আউস ধান, ভূট্টা, পাট ও সবজি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।

এ দিকে বগুড়া জেলা প্রশাসক মো: সাইফুল ইসলাম শুক্রবার সোনাতলা ও সারিয়াকান্দি উপজেলা বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছন। তিনি শুক্রবার সোনাতলা উপজেলার বন্যা কবলিত মানুষের মধ্যে ৫০ মেট্রিকটন চাল বিতরণ করেছেন। বৃহস্পতিবার তিনি সারিয়াকান্দিতে ১০০ মেট্রিকটন চাল বন্যা দুর্গতদের মধ্যে বিতরন করেছেন।

জেলা প্রশাসক জানান, যতদিন বন্যা আছে ততোদিন বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে ত্রান দেয়া হবে।

তিনি বলেন, ত্রান মন্ত্রনায়ল থেকে ১০ লাখ টাকা, ৫০০ প্যাকেট শুকনা খাবার (ডাল, চিড়া, তেল, পাউরুটি, পানি ও পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যবালেটসহ বিভিন্ন উপকরণ) পাওয়া গেছে। প্রয়োজনে স্থানীয় ভাবে ত্রানের ব্যবস্থা করা হবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print