বগুড়া শহরের ফতেহ আলী বাজারে বিষাক্ত রং মিশিয়ে দেশীয় মাছ বিক্রির নামে অভিনব প্রতারণা করার দায়ে এক ব্যবসায়ীকে আর্থিক দন্ড দিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। একই সাথে জব্দকৃত প্রায় ৪০ কেজি মাছ করতোয়া নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে শহরের ফতেহ আলী বাজারের রহিম মন্ডল নামের ওই মাছ ব্যবসায়ীকে আর্থিক দন্ড দেয়া হয়েছে। এসময় তাকে সতর্কতামূলক পরামর্শ দেয় হয়।
এদিন বিষাক্ত রং মেশানো মাছ বিক্রির অভিযোগ পেয়ে বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী।
বিষয়টি সম্পর্কে ইফতেখারুল আলম রিজভী বলেন, ‘ফতেহ আলী বাজারে ফার্মে উৎপাদনকৃত মাগুর ও শিং মাছে বিষাক্ত রং মিশিয়ে বিক্রির অভিযোগ ছিল। মূলত এরই প্রেক্ষিতে আজ সকালে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। বাজারে এসে যার সত্যতাও পেয়েছি। এতে রহিম মন্ডল নামের এক ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’
জব্দকৃত মাছগুলো করতোয়া নদীতে অবমুক্তকরণের বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি আরও বলেন, বাজারে অভিযান চালিয়ে যেসব মাছ জব্দ করা হয়েছিলো সেগুলো স্থানীয় করতোয়া নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে। একই সাথে বাজারের সকল মাছ ব্যবসায়ীকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। যেন আগামীতে তারা বেশি মুনাফা লাভের আশায় ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা না করতে পারেন।
তবে জব্দকৃত মাছ বাজারে নয়, বরং আমদানিকারকরা রং মিশিয়ে অভিনব প্রতারণা করছেন। এ বিষয়ে ফতেহ আলী বাজারের অভিযুক্ত মাছ ব্যবসায়ী রহিম মন্ডল বলেছেন, ‘আমরা চাষী বাজার থেকে মাছগুলো কিনে থাকি। মূলত তারাই মাছে রং মেশানোর প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। আমরা শুধু মাছগুলো এনে খোলা বাজারে বিক্রি করে থাকি।’
অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় ব্যবসায়ীরা এ ধরনের অভিনব প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে বলেও জানিয়েছেন জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ইফতেখারুল আলম রিজভী।
এনসিএন/এআইএ