বগুড়ায় শ্রমিক আল আমিন হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি ও সাতজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বগুড়ার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হাবিবা মণ্ডল বুধবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এই রায় দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নাসিমুল করিম হলি।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম ফরিদ শেখ। তিনি সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের কুটুরবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। এছাড়া যাবজ্জীবন দন্ডিত আসামিরা হলেন- ইয়াকুব শেখ, সোহাগ শেখ, মঞ্জু শেখ, নয়ন শেখ, মাসুম শেখ, আব্দুর রাজ্জাক শেখ এবং খোরশেদ। এদের বাড়ীও কুটুরবাড়ি এলাকায়। এদের সবাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এর পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সাজা ভোগ করতে হবে বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত৷
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নাসিমুল করিম হলি জানান, জায়গা-জমি নিয়ে কুটুরবাড়ি গ্রামের ইয়াকুব আলী ও বাদশা শেখের পরিবারের মধ্যে পূর্ববিরোধ ছিল। ২০১৯ সালের ১৯ জুন ইয়াকুব আলীর একটি ছাগল বাদশা মিয়ার বাড়িতে রান্না করা ভাত খেয়ে ফেলে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়।
পরেরদিন বেলা দেড়টার দিকে বাড়ির পাশে শিশুদের ফুটবল খেলা দেখছিলেন বাদশা শেখের ভাই রফিকুল ইসলাম। এ সময় ইয়াকুবের পরিবারের পক্ষে মোহাম্মদ নয়ন নামের এক যুবক রফিকুলকে মারধর করেন।
খবর পেয়ে রফিকুলের পরিবারের সদস্যরা ইয়াকুব আলীর পরিবারের কাছে নালিশ নিয়ে যান। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে বাদশা শেখের ছেলে আল আমিনের পাঁজরে বল্লম ঢুকিয়ে দেন প্রতিপক্ষ ইয়াকুব আলীর পরিবারের লোকজনেরা। এতে আল আমিন মারা যান। পরে আল আমিনের বাবা বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় সিআইডি ২০২০ সালের ৩০ জুলাই ১১জনকে আসামি করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। সকল কার্যক্রম শেষে আদালত ১১জনের মধ্যে একজনের ফাঁসি, সাতজনের যাবজ্জীবন এবং তিনজনকে খালাস প্রদান করে রায় ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, রায় ঘোষণার সময় সকল আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এনসিএন/বিআর