ডিসেম্বর ১, ২০২৫ ৬:১৬ পূর্বাহ্ণ

বগুড়ার কৃতি সন্তান শিপন আসন্ন ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে সমাজসেবা সম্পাদক পদে প্রার্থী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন্ন ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে সমাজসেবা সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বগুড়ার কৃতি সন্তান ও ছাত্রনেতা শিপন। তিনি মাস্টারদা সূর্যসেন হলের সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক এবং বর্তমানে একই হলের ২ নং যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘদিনের সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা ও শিক্ষার্থীবান্ধব ভূমিকার কারণে তিনি ইতিমধ্যেই সহপাঠীদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন।

রাজনীতির অঙ্গনে শিপনের যাত্রা শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পরপরই। শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায় ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রেখে আসছেন। বিশেষ করে বিগত আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার আমলে যখন বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে ভয়, দমন-পীড়ন ও অন্যায়-অবিচার নেমে আসে, তখন তিনি প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হিসেবে সামনে আসেন। সহপাঠীদের উপর অন্যায় হলে তিনি সব সময় তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। মামলা-হামলা, নির্যাতন-নিপীড়ন ও হুমকি তাকে দমাতে পারেনি।

সমাজসেবা সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়ে শিপন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি শিক্ষার্থীদের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও কল্যাণমূলক কার্যক্রমে গুরুত্ব দেবেন। তার অঙ্গীকার—

শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা, হল ও ডাকসুকে শিক্ষার্থীদের আস্থার প্রকৃত কেন্দ্রে পরিণত করা,মসংকটকালে ছাত্রদের পাশে দাঁড়ানো এবং সামাজিক-সাংগঠনিক কার্যক্রমকে নতুন দিগন্তে নিয়ে যাওয়া।

শিপন মিয়া বলেন, “ডাকসু ও হল সংসদ কেবল নির্বাচন আর পদ-পদবির জায়গা নয়; এটি শিক্ষার্থীদের জীবন-সংগ্রামের প্রতিফলন। আমি চাই, সমাজসেবা সম্পাদক হিসেবে শিক্ষার্থীদের প্রতিটি দুঃসময়ে তাদের পাশে থাকতে।”

শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ মনে করছে, তার মতো অভিজ্ঞ, সংগ্রামী ও সাহসী নেতার প্রয়োজন ডাকসুতে। তাদের বিশ্বাস, শিপন ভাই নির্বাচিত হলে সমাজসেবা সম্পাদক হিসেবে প্রকৃত অর্থেই শিক্ষার্থীদের কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন।

বগুড়া শহর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ আহমেদ (বিশাল) বলেন, শিপন মিয়া সবসময় সৎ ও দায়িত্বশীল একজন শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচিত। সবার পাশে থাকা মানুষ। তিনি সহপাঠীদের সুখ-দুঃখে পাশে থাকেন, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। বিভিন্ন সামাজিক ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থেকেছেন। তাঁর নেতৃত্ব ও উদ্যোগ অন্য শিক্ষার্থীদেরও অনুপ্রাণিত করেছে। শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা ও কল্যাণে কাজ করাই তাঁর মূল লক্ষ্য।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print