বগুড়ায় পেঁয়াজ, মরিচসহ কাঁচা বাজারে স্বস্তি ফিরেছে। বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে যাওযায় দাম চলে এসেছে মানুষের নাগালের মধ্যে। তবে ইফতারির সাথে সম্পৃক্ত দেশি ফল মানুষের নাগালের বাইরে। বেল, অপরিপক্ক তরমুজ, পাকা পেঁপে, বরইসহ সকল ফলের দাম আকাশ চুম্বি।
কাঁচা বাজারের আড়ৎদার পরিমল প্রসাদ রাজ জানান, ভারতীয় পেঁয়াজের আসার সংবাদে দাম কমেছে। তা ছাড়া বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে গেছে। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা দরে। খুচরা বাজারে ৭০-৭৫ টাকা কেজি। বেগুনের দাম তলানীতে ঠেকেছে। যে বেগুন রোজার আগের দিনে ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সেই বেগুন শনিবার বগুড়ার বাজারে পাইকারি ও খুচরায় বিক্রি হয়েছে ২০ টাকা কেজি। ৭০ টাকার কাঁচা মরিচ এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। গত কয়েক দিন আগে যে লেবু ৮০ টাকা হালি (৪টা) বিক্রি হয়েছিল সেই লেবু শনিবার বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা হালি।
হঠাৎ কাঁচা বাজারে জিনিষের দাম নিম্নমুখীর ব্যাপারে পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতারা বলছেন সরকারে তৎপরতায় দাম কমতে শুরু করেছে। খিরা ৫০ টাকা কেজি, ১৩০ টাকা কেজির করোলা এখন ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যান্য পন্যর দামও দ্রুত কমবে বলে জানান বিক্রেতারা। সোনালী মুরগী ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেথা গেছে। আলু হিমাগারে উঠছে বলে কেজিতে ৪ টাকা বৃদ্ধি পেলেও লাল আলু ৪০ টাকা এবং এ্যাটারিক ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে নতুন ফল ৫ কেজির একটি তরমুজ ৫০০ টাকা, পেঁপে ৯০ টাকা কেজি, একটি মাঝারী সাইজের বেল ১২০ টাকা। অধিকাংশ তরমুজ অপরিপক্ক। উপরে সবুজ, ভেতরে সাদা। বেশি দামের আশায় অরিপক্ক তরমুজ বিক্রি হচ্ছে বাজারে। গত ১৫ দিন আগেও তরমুজ ছিল ৬০ টাকা কেজি।
ডালের বাজারে অস্থিরতা কমেনি। ফতেহ আলী বাজারের দোকানী দিপক কুমার জানান, পাইকারী ব্যবসায়ীরা প্রতিটি ডালে কেজিতে ৮ টাকা থেকে ১০ টাকা বাড়িয়েছে।ছোলা ১০৫, খেশারীর ডাল কেজিতে, ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা বাড়িয়েছে পাইকারি ব্যবসায়ীরা ব্যবসায়ী দিপক জানান, পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ালে তাদের করার কিছু থাকে না।
রমজান অথচ ইফতারের থালায় খেজুর না থাকলে অনেকটা বেমানান। আর সেই খেজুর সাধারন মানুষের পক্ষে কিনে খাওয়া কঠিন ব্যাপার। সাধারণ মানের খেজুর ১৬০ টাকা আর বগুড়ার বাজারে উন্নত মানের খেজুর ১২০০ টাকা কেজি।