অল্প সময় বৃষ্টি হলেই পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে বগুড়া শহরের বিভিন্ন এলাকায়। মাত্র এক ঘণ্টা বৃষ্টিতে হাঁটুপানি জমে যায় ভোগান্তিতে পড়ছেন শহরবাসীরা। এমনকি শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথাতেও বেহাল দশা। এই জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ বেড়েছে শহরবাসীর। উন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাবে এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি বলে জানায় স্থানীয়রা।
জমে থাকা বৃষ্টির পানি নেমে যেতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা। এতে সময় অপচয় ও দুর্ভোগে পড়ছেন শহরবাসীর বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখা গেছে, একটু বৃষ্টি নামলেই পৌরসভার বাদুরতলা এলাকার সড়কের প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা ডুবে থাকে পানিতে।
পানি নামতে না পারায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় পৌরবাসীকে। একই অবস্থা শহরের সেউজগাড়ীর বেশ কিছু একালা, রহমাননগর এলাকা, বড়গোলা এলাকা ও সাতমাথাসহ অধিকাংশ সড়কের।
বৃষ্টি হলেই সড়কগুলোতে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। কয়েক বছর ধরে এই অবস্থা চললেও সমাধানের তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে সমস্যা নিয়েই বসবাস করছেন পৌরবাসী। তবে এমন দিন গুলোতে সব থেকে বেশি দুর্ভোগে পড়েন শহরের অদূরে থেকে আসা মানুষগুলো। দুর্ভোগের শেষ নেই শিক্ষার্থী, যাত্রী, চালক ও পথচারীদের।
কলেজ পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী জানান, কলেজ ছুটির পর পরই বৃষ্টি আসে। যার ফলে রাস্তাতেই আটকে পড়ি। এখন বৃষ্টি থেমেছে তবে জলাবদ্ধতার কারণে যাওয়ার উপায় নেই। রিকশাও পাচ্ছি না আর পেলেও অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করছেন। তাই অপেক্ষায় আছি।

সাতমাথা এলাকায় যানজটে আটকে এক মোটরসাইকেল আরোহী জানান, বৃষ্টি থামার সাথে সাথে জলাবদ্ধতার পাশাপাশি তীব্র যানজটের ও সৃষ্টি হয়েছে। সবাই বৃষ্টিতে আটকে থেকে বৃষ্টি থেমে যাওয়ার সাথে সাথে সবাই একযোগে গন্তব্যে রওনা দেওয়ার কারণে আর অনেক রাস্তায় যাওয়ার পরিস্থিতি না থাকায় এমন অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে।
পৌরসভার এক বাসিন্দা জানান, অল্প কিছু সময় বৃষ্টি হলেই পৌরসভার বিভিন্ন অলিগলি পানিতে তলিয়ে যায়। এতে চলাচলে ভোগান্তি বাড়ে। এমনকি বাড়িঘরেও পানি উঠে যায়। চরম দুর্ভোগ নিয়ে চলতে হচ্ছে বসবাসকারীদের।
বগুড়া পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা জানান, ইতিমধ্যে আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শহরের জলাবদ্ধতা এলাকাগুলিতে পাঠানো হয়েছ দ্রুত পানি নামে যাওয়ার ব্যবস্থা করছেন। তবে এসব থেকে মুক্তি পাওয়ার প্রধান বিষয় জনসচেতনতা। মানুষ ড্রেনের মধ্যে পলিথিন-প্লাস্টিকের চায়ের কাপ থেকে বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনা ফেলে ড্রেনে পানি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরে। যার কারণে এমন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। তাই জনসাধারণ কে সচেতন হতে হবে।
প্রায় টানা এক ঘন্টায় কি পরিমান বৃষ্টি হয়েছে বগুড়ায় এ ব্যপারে জেলা আবহাওয়া অফিস জানান, দুপুরে টানা এক ঘন্টায় ৩৭ মিলি মিটার ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ নিয়ে চলতি মাসে ১১১ মিলি মিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে আগামী কয়েকদিনেও হালকা ও ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এনসিএন/বিআর
