তীব্র দাবদাহে পুড়ছে বগুড়ার পথঘাট। প্রচন্ড গরমে মানুষ হাসফাস করছে।
মাথার উপর সুর্যের তাপমাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। ঘরে বাইরে কোথাও কোনস্বস্তি নেই। গরমের কাছে বৃদ্ধ- শিশুরা অসহায় আত্মসমর্পন করছে। বৈদ্যুতিক পাখাতে যেন জোর নেই। ফ্যানের বাতাস গায়ে লাগছেনা। প্রচন্ড তাপে গলা শুকিয়ে আসছে। শুষ্ক গলা ভিজিয়ে নিয়ে রাস্তার পাশে আইসক্রিম, আখের রস, বরফসহ লেবুর রস পান করে কিছুটা তৃষ্ণা মেটানোর চেষ্ট করছে মানুষ।
বুধবার বগুড়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বগুড়ায় এ বছরের এটায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। বগুড়া আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া জানান, এর আগে গত ৭ জুলাই বগুড়ায় তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিত ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে বগুড়ায় বেলা ৩ টা থেকে ৪ টার মধ্যে বগুড়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রী তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ।এটি এই মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
প্রচন্ড গরম ও ঘামে সর্দি, কাশি, জ্বর দেখা দিয়েছে। বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের উপ-পরিচালক তত্ত্বাবধায়ক ডা: এ টি এম নূরুজ্জামান জানান, সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতলের শিশু ওয়ার্ড রোগীতে ঠাসা। একদিনে প্রায় ২৫ জন শিশু ভর্তি হয়েছে। হাসপাতালের ডাক্তাররাও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে।
