বগুড়া শহরের সাতমাথা হোটেল পট্টি এলাকায় অবস্থিত একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে ৬ নারী কে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে সদর পুলিশ ফাঁড়ীর এসআই খোরশেদ আলম ও সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক এসআই আব্দুল মালেক এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ আমির গেষ্ট হাউজে অভিযান চালায়। এসময় হোটেল থেকে অসামাজিক কর্মকান্ডে জড়িত ৬ জনকে নারীকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হচ্ছে- সুমি (২৩), মিম (২৫), সিমা (১৮), টুলি (২০), লিপি (৩৫), ময়না (৩৫)। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হোটেল ম্যানেজার পালিয়ে যায় এবং টুইন ব্রাদার্সে কাউকে পাওয়া যায় না।
স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে, ম্যানেজার ও হোটেলের মালিক এসব অনৈতিক কর্মকান্ডের মূল হোতা। অনেক দিন ধরে দেশের বিভিন্ন প্রাপ্ত থেকে কিশোরীদের ধরে এনে হোটেলে রেখে দেহ ব্যবসা করানো হচ্ছে। প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে ম্যানেজার ও হোটেল মালিক এসব অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত রয়েছে বলে জানা গেছে।
অভিযোগকারীর দাবি, ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে টুইন ব্রাদার্স প আমির গেষ্ট হাউজে নারীদের দিয়ে অনৈতিক কর্মকান্ড করা হচ্ছে। এমন অভিযোগ দেওয়ার তথ্য জানতে পেরে ৫ মিনিটের মধ্যে টুইন ব্রাদার্সের নারীদের বের করে দেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ। তার পর পুলিশ এসে দুটিতে অভিযান চালায় এবং আমির গেষ্ট হাউজ থেকে নারীদের আটক করা হয়।
তিনি আরও জানান, ৯৯৯ এ অভিযোগের পর পুলিশ আসার আগেই কি করে হোটেল কর্তৃপক্ষ তা জানতে পারে আর নারীদের সরিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ আসে।
বগুড়া সদর পুলিশ ফাঁড়ীর উপ-পরিদর্শক এসআই খোরশেদ আলম বলেন, ৯৯৯ এর ভিত্তিতে শহরের দুইটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে আমির গেষ্ট হাউজ থেকে ৬ নারীকে আটক করা হয় এবং ম্যানেজার পালিয়ে যায়। এসময় পুলিশ আসার খবর পেয়ে টু ইন ব্রাদার্স হোটেলের স্টাফ ও নারীরা পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এনসিএন/বিআর
