ডিসেম্বর ১, ২০২৫ ১০:৫১ পূর্বাহ্ণ

বগুড়ায় মিথ্যা মামলায় পিতা-পুত্রকে হয়রানির প্রতিবাদে পরিবারের মানববন্ধন

বগুড়ায় মিথ্যা মামলায় পিতা-পুত্রকে হয়রানির প্রতিবাদে পরিবারের মানববন্ধন।
বগুড়ায় মিথ্যা মামলায় পিতা-পুত্রকে হয়রানির প্রতিবাদে পরিবারের মানববন্ধন। ছবিঃ এনসিএন
বগুড়ার গাবতলীতে শ্যালো মেশিন চুরির মিথ্যা মামলা দিয়ে রাঙা মেকার (৪৫) ও তার ছেলে রিয়াদ হাসানকে (২০) হয়রানি করার প্রতিবাদে পরিবারের পক্ষ থেকে মানববন্ধন করা হয়েছে।
শুক্রবার বেলা ১২টায় গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের ধোড়াপূর্ব পাড়ায় পরিবারের পক্ষ থেকে মানববন্ধন করা হয়। গত ২৪ আগষ্ট শ্যালো মেশিন চুরির অপরাধে রিয়াদকে আটক করে গাবতলী থানা পুলিশ। ২৫ আগষ্ট তাকে থানা পুলিশ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে। রাঙা মেকার ও রিয়াদ হাসান ধোড়া পূর্বপাড়ার বাসিন্দা।
শুক্রবার গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নে ধোড়াপূর্ব পাড়ায় মানববন্ধনে রিয়াদের মা রেশমা বেগম, দাদা বাচ্চু,  দাদী শামসুন্নাহার, নানা আব্দুল মান্নান, নানী রেবেকা বেগম, স্থানীয় ওসমান আলী, শফিকুল, বাবুল,  পার্থ, নাদিমুল, শিহাব, বিপুল, রবিউল, আশিক, অলক, শান্তু, হেলাল উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে রিয়াদে মা রেশমা বেগম বলেন, ঘটনার সাথে কোনভাবে আমার ছেলে রিয়াদ ও তার বাবা রাঙা মেকার জড়িত নয়। ঘটনার দিন রাত আমার ছেলে রিয়াদকে বাড়ি ডেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ঘর থেকে মোটর সাইকেল বের করে নিয়ে যায়। আমার ছেলে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হচ্ছে।  সে তার বাবার সাথে মেকারির কাজ করে। তারা  বাবা-ছেলে এই শ্যালো মেশিন চুরির সাথে জড়িত নয়। মিথ্যা হয়রানি করার জন্য এই মামলা দেয়া হয়েছে।
রিয়াদের দাদী শামসুন্নাহার বলেন, ঘটনার দিন রাতে আমার নাতীকে ঘর থেকে রাতে ডেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার কোন অপরাধ নাই। তারা যে অভিযোগ করেছে আমার ছেলে রাঙা ও  নাতী রিয়াদের বিরুদ্ধে তা মিথ্যা। সঠিক তদন্ত করলে শ্যালো মেশিন চুরির সাথে জড়িতরা বের হয়ে আসবে বলে দাবি করেন।
এসময় স্থানীয়রা জানান, রিয়াদ এসব কর্মকান্ডের সাথে জড়িত নয়। তাকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হচ্ছে।
এবিষয়ে মহিষাবান ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় মেম্বার শাহজাহান বলেন, স্থানীয়রা রিয়াদকে ধরেছে। ধরারপর ৯৯৯ কল দিলে পুলিশ এসে তাকে নিয়ে যায়। শ্যালো মেশিন চুরির মামলায় পুলিশ তাকে জেলাখানায় পাঠিয়েছে। এর বাহিরে অন্য কিছু আমার জানা নেই।
এবিষয়ে গাবতলী থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জহুরুল ইসলাম জানান, স্থানীয়রা রিয়াদকে ধরে পুলিশকে খবর দিলে তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। বাবা ছেলের বিরুদ্ধে দস্যুতার মামলা দায়ের করে বাদী। এ মামলায় তাকে আটক দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলাটি এখন তদন্ত চলছে।
এনসিএন/বিআর
Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print