বগুড়ায় দিনে তীব্র তাপদাহ, রাতে ভ্যাপসা গরম। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে লোডশেডিং। সব মিলিয়ে বগুড়ার গ্রাম ও শহরের জনজীবন অতিষ্ঠ।
তবে শিডিউলের বাহিরে লোডশেডিং হওয়ার কারণে বিপাকে পড়তে হচ্ছে বাণিজ্যিক এলাকার কারখানাগুলোকে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এমন অবস্থার কারণে সব ধরনের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে বিসিক শিল্পনগরীর ছোট বড় কারখানায়।
বগুড়া বিসিক শিল্পনগরীতে ছোট বড় কয়েক শ’ কলকারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় বিদ্যুতের ব্যাপক চাহিদা থাকে। তবে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুতের সরবরাহ না থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
সাধারনত আবাসিক এলাকায় দিনরাত মিলে ১ ঘন্টা করে দুইবার লোডশেডিংয়ের নিয়ম থাকলেও তা প্রায় তিন থেকে চার ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। এসব এলাকার সাথে তাল মিলিয়ে বানিজ্যিক এলাকাতেও ৩ থেকে ৪ ঘন্টা হচ্ছে বিদ্যুৎ সরবারহ ও লোডশেডিং। এমন লোডশেডিংয়ের কারণে কারখানাগুলোতে আগের থেকে অনেকটা উৎপাদন কমে গেছে বলে জানিয়েছে কারখানা মালিকরা।
এমন লোডশেডয়ের কারণে শিল্পক্ষেত্র কি ধরণের প্রভাব হচ্ছে জানতে চাইলে বিসিক শিল্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাচ্চু সেখ বলেন, বগুড়ায় বিসিক শিল্প নগরীসহ ছোট-বড় কারখানাগুলোতে উৎপাদন আগের তুলনায় ৪০ শতাংশ কমে গেছে। প্রতিদিন কারখানাগুলোতে কর্মঘণ্টা অপচয় হচ্ছে। ফলে বিনা পরিশ্রমেই শ্রমিকদের বেতন দিতে হচ্ছে মালিকদের। সরকার কে দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করার অনুরোধ করছি।
বিসিক শিল্পনগরীর মেসার্স আল-মদিনা মেটাল এর মালিক মোঃ আব্দুল মালেক আকন্দ বলেন, বেশির ভাগ সময় বিদ্যুৎ পাচ্ছি না আমরা। আমাদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এক সপ্তাহ ধরে এমন সমস্যা চলছে। এমনটা চলতে থাকলে বড় ধরনের লোকশানের মুখে পড়তে হবে আমাদের। তাই দ্রুত বিদ্যুৎ লোডশেডিং বন্ধ করতে বিদ্যুৎ বিভাগের দৃষ্টি কামনা করছি। শ্রমিকদের কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। এতে ক্রমেই লোকসানের পাল্লা ভারী হতে পারে।
এদিকে বানিজ্যিক এলাকায় এমন ঘন ঘন লোডশেডিং কারণ জানতে চাইলে বিক্রয় ও বিতারন বিভাগ-৩ (নেসকো) করতোয়া বগুড়া শাখার কর্মকর্তা নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সিহাব হোসাইন বলেন, ‘আমাদের প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা ২২ মেগাওয়াট কিন্তু আমরা পাচ্ছি ১২ মেগাওয়াট। চাহিদার তুলনা অর্ধেক বিদ্যুৎ পাচ্ছি। পাশাপাশি প্রচণ্ড গরমের কারণেও বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে।’
এনসিএন/বিআর
