মে ২, ২০২৪ ৬:৩০ এএম

বাসর রাতের পর স্বামী পলাতক, শ্বশুর বাড়িতে তরুণীর অবস্থান

প্রেম করে মোর্শেদা খানম (২০) নামে এক তরুণী বিয়ে করেন নিশাত শেখ নামে এক যুবককে। কিন্তু বিয়ের পর বাসর রাত কাটিয়ে পরদিন শ্বশুর বাড়িতে নববধূ মোর্শেদাকে রেখে পালিয়ে যান স্বামী নিশাত।

স্বামীর স্বীকৃতি পেতে শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান নেন তিনি। তবে মোর্শেদার উপস্থিতি টের পেয়ে স্বামীসহ তার পরিবারের সকল সদস্য বাড়িতে তালা মেরে পালিয়ে যান।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বুধবার সকালে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত স্বামী ফুলবাড়িয়া গ্রামের মো. দুলাল শেখের ছেলে। আর ভুক্তভোগী তরুণী পাশের সোনাপুর ইউনিয়নের চান্দাখোলা গ্রামের সিদ্দিক সর্দারের মেয়ে। বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই তরুণী শ্বশুর বাড়িতেই অবস্থান করছে বলে জানা গেছে। এদিকে অবস্থানরত তরুণীকে একনজর দেখতে ওই বাড়িতে ভিড় করেন পাড়া-প্রতিবেশীরা।

ভুক্তভোগী মোর্শেদা খানম বলেন, নিশাতের সঙ্গে আমার ফেসবুকে পরিচয়। এরপর টানা ৯ মাস প্রেম সম্পর্ক চলছিল। প্রেমের সুবাধে নিশাত মাঝে মাঝে আমাদের বাড়িতে আসতেন। একপর্যায় গত ৯ এপ্রিল তার ব্যক্তিগত সম্মতিতে আমাদের বাড়িতে বিয়ে সম্পন্ন করা হয়। বিয়ের পর আমার সঙ্গে বাসর রাত কাটিয়ে পরদিন সকালে আমাদের বাড়ি থেকে পালিয়ে যান নিশাত। এরপর গত এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও আমার সাথে কোন যোগাযোগ করেনি। এই জন্য আমার স্বামীর বাড়িতে আজ চলে এসেছি। আমি এখানে আসলে বাড়ির সবাই পালিয়ে যায়। স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেলে আমার আত্মহত্যা ছাড়া কোন পথ নেই।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান বলেন, ‘৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি আমাদের জানান ওই তরুণী। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যদি সমাধান না হয় তবে ওই তরুণীর অভিযোগ সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, ‘এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছি। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধান করতে বলা হয়েছে। এরপরও যদি বিষয়টি সমাধান না হয় তখন এব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print