অক্টোবর ১৮, ২০২৪ ১০:২৯ পিএম

চাঁদা দিতে বাঁধা দেওয়ায়

বিএনপির পরিচয়ে হাসুয়া দিয়ে কোপালো বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারীকে

নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার শিহাড়া ইউনিয়নের আমন্ত বাজারে বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী ও জনপ্রিয় অভিনেতা এমরান হোসেন (হাসো) ও তার পরিবারকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগীর অভিযোগ একই এলাকার মজিদুল বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে ও ক্ষমতা দেখিয়ে তাকেসহ তার পরিবারের সদস্যদের মারধর করা হয়েছে। এসময় মজিদুলের সহযোগী হিসেবে স্থানীয় অনেকে বিএনপির পরিচয় দিয়ে হামলা করে জখম করে।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সকাল পৌনে ৮ টার দিকে এমরান হোসেনের বাবাকে বাসা থেকে আমন্ত বাজারে ডেকে নিয়ে গিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করতে থাকলে বাজারে স্থানীয়রা এমরান হোসেনকে বিষয়টা ফোন দিয়ে জানায়, এমরান বাজারে গিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করলে তারা এমরান তার বাবা ও খালাকে হাসুয়া দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে।

এ বিষয় ভুক্তভোগী এমরান হোসেন বলেন, আমাদের গ্রামে একটি উপ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে যেখানে ডাক্তার সবিউর রহমান চাকরি করে। অভিযুক্ত মজিদুল ইসলাম, হেলাল, কারাম সহ কয়েকজন ব্যক্তি তারা তার কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে তার গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। তখন বিষয়টি আমার বাবাকে জানায় ডাক্তার সবিউর। আমার বাবা তখন তাদের সাথে কথা বললে তারা আমার বাবার উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে ১৭ তারিখ বৃহস্পতিবার বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ করে। পরেরদিন আবারও আমার বাবাকে বাজারে ডেকে নিয়ে গিয়ে গালিগালাজ ও মারধর করলে আমি সেখানে গিয়ে বিষয়টি থামানোর চেষ্টা করলে অভিযুক্ত মজিদুল বলেন আমি বিএনপি করি তোদের সবার মাথা কাটবো বলে হাসুয়া দিয়ে আমার বাবাকে আঘাত করলে আমি সেটা আটকায় তখন আমার হাত কেটে যায়। তখন তারা আমার খালাকে হাসুয়া দিয়ে কোপ মারে ও অনেকেই আমাকে লাঠি দিয়ে মারতে থাকে স্হানীয় লোকজন তখন এগিয়ে আসলে আমাদের রক্ষা হয়। পরবর্তীতে স্হানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী আমন্ত বাজারের বাসিন্দা রাসেল জানান, এমরান ও তার পরিবারকে যেভাবে মারা হয়েছে এইটা ঠিক হয়নি। পুরোটাই তারা অন্যায় ভাবে মারেছে ।

স্হানীয় আরেক বাসিন্দা মাহমুদ ইসলাম বলেন, আমি বাসা থেকে বাজারে আসার পর দেখি বাজারে গন্ডগোল হচ্ছে। তখন আমি কাছে গিয়ে দেখি এমরান এর বাবাকে হাসুয়া দিয়ে কোপ মারতেই এমরান হাত দিয়ে হাসুয়া আটকালে তার হাত কেটে যায়। এমরান যদি হাত দিয়ে না ধরতো তাহলে হাসুয়ার কোপ ওর বাবাকে লাগতো।

এ বিষয়ে জানতে মজিদুলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি সকালে বাজারে এসেছি পরাটা চা খেতে কোন কথা না বলেই এমরানের বাবা জুতা দিয়ে আমাকে মেরেছে।

হাসুয়া দিয়ে এমরান ও তার পরিবারের জঘম করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাজারে কে কখন কোথায় থেকে কাকে মারতেছে কিভাবে বলবো ভাই। আপনি এখানে এসে সব তথ্য নিয়ে যান।

আপনি বিএনপি দল করেন পরিচয়ে তাদের মারধর করেছেন এমন প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, আমি বিএনপির কোন পদে নেই কিন্তু আমি বিএনপি সাপোর্ট করি।

পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ্ মোঃ এনায়েতুর রহমান জানান, এই বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে। আমি তৎক্ষণাৎ পুলিশ পাঠিয়েছি তদন্ত করার জন্য। তদন্ত সাপেক্ষে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print