বিদ্যার দেবীর আরাধনায় বগুড়ায় উৎসবমুখর পরিবেশে সরস্বতী পূজা উদযাপিত হচ্ছে। হিন্দু ধর্মালম্বীদের অন্যতম এই ধর্মীয় উৎসবে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে আজিজুল হক কলেজে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এতে সকল সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরাসহ নানা পেশার ভক্ত এতে অংশগ্রহণ করেন।
এসময় বিদ্যা ও জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতীর চরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে অজ্ঞতার অন্ধকার দূর করতে কল্যাণময়ী দেবীর পাদপদ্মে প্রণতি জানিয়েছেন তারা।
সরস্বতী পূজা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিদ্যাদেবী বা সরস্বতী দেবীকেই পূজা করে থাকে। দেবীর এক হাতে বীণা থাকার কারণে, এটিকে সংগীত দেবী বা বীণাপাণিও বলে থাকে। শাস্ত্রমতে সরস্বতী শব্দটির অর্থ, ‘সতত রসে সমৃদ্ধা’। তিনি শুক্লবর্ণা, শুভ্র হংস বাহনা। ‘বীণা-রঞ্জিত পুস্তক হস্তে।’ অর্থাৎ এক হাতে বীণা ও অন্য হাতে পুস্তক।
সরকারি আজিজুল হক কলেজে আসা পূজা রাণী বলেন, সরস্বতী আমাদের বিদ্যার দেবী। আমরা যেন সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারি এই প্রার্থনাই মায়ের কাছে জানিয়েছি।
অসীম কুমার কৌশিক জানান, সামনে আমার বড় পরীক্ষা। পরীক্ষায় ভাল ফলাফলের জন্য মায়ের কাছে অঞ্জলি দিয়ে প্রার্থনা জানিয়েছি।
সন্তানের হাতে-খড়ি দিয়ে কথা সরকার বলেন, হাতে-খড়ির মাধ্যমে ছেলের পড়ালেখার শুভ সূচনা হলো। মায়ের কাছে সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেছি।
সরকারি আজিজুল হক কলেজে অনুষ্ঠিত পূজার আয়োজক কমিটির সদস্য ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সুব্রত কুমার সাহা জানান, সবচেয়ে বড় শিক্ষা হচ্ছে মনুষ্যত্বের শিক্ষা। মনুষ্যত্বের জায়গা থেকে সবাইকে ভালবাসতে হবে। যদি কেউ সব ধর্মের এবং সব লিঙ্গের মানুষকে একই চোখে দেখতে না পারে, তাহলে তার শিক্ষার কোনও মূল্য নেই। জাতি-বর্ণ-ধর্ম নির্বিশেষে সব স্তরের মানুষ এখানে আসে। সবার উপস্থিতিতে এটা সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে।
এনসিএন/এআইএ