শিক্ষককেরা পাঠদান ফাঁকি দিয়ে ঘুমিয়ে সময় কাটান। এমনকি শ্রেণিকক্ষে তাদের আরাম করে ঘুমানোর জন্য রাখা আছে বালিশ ও কাঁথা। প্রধাম শিক্ষক এসবে বাধা দিলে তাকে নাজেহাল করা হয়। দেখানো হয় ভয়ভীতি। এমন অভিযোগ পটুয়াখালীর বাউফল সদর ইউনিয়নের বিলবিলাস-১ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিলবিলাস-১ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ২৩০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের পাঠদানের জন্য ৭ জন শিক্ষক কর্মরত থাকলেও অধিকাংশ শিক্ষক ২-১টি ক্লাস শেষ করে বিদ্যালয়ের আইসিটি ও নামাজের কক্ষসহ বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষে গিয়ে ঘুমিয়ে সময় কাটান। এমনকি তারা আরাম করে ঘুমানোর জন্য বিদ্যালয় শ্রেণিকক্ষে বাড়ি থেকে বিছানা ও বালিশ এনে রেখেছেন। শিক্ষকরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় প্রধান শিক্ষকের নিষেধ ও নির্দেশনা আমলে নেন না বলেও অভিযোগ রয়েছে। এমনকি এসব কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় একবার একজোট হয়ে সব শিক্ষকরা মিলে প্রধান শিক্ষককে অফিস রুমে দীর্ঘ সময় আটকে রেখেছিলেন বলে জানা গেছে।
কামরুন্নাহার লিলি নামের এক শিক্ষক ১১ মাস দেশের বাইরে কাটিয়েও বর্তমানে বহাল তবিয়তে আছেন। তিনি দীর্ঘ দিন ফ্রান্সে কাটিয়ে আবার কর্মস্থলে এসে যোগদানও করেছেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে প্রধান শিক্ষক রেহেনা বেগম বলেন, আমি শিক্ষকদের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করলে আমাকে নাজেহাল করা হয়। বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীত দেখানো হয়। একবার প্রতিবাদ করায় আমাকে অফিস রুমে দীর্ঘ সময় আটকে রাখা হয়েছিল। আমাকে চিকিৎসার জন্য পাবনা যেতে বলে অপমান করা হয়। আমি এসব বিষয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।
এ ব্যাপারে বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার বশির গাজী বলেন, আমি একদিনের ট্রেনিংয়ের জন্য ঢাকায় আছি। কর্মস্থলে ফিরে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেব।
এনসিএন/এসকে