মে ১৮, ২০২৪ ১:০০ পিএম

বিমানে চড়ে কি করবেন কি করবেন না

ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

জীবনে প্রথমবার বিমানে চড়ার অভিজ্ঞতা অনেকেরই আছে। আর প্রথমবার বিমানে চড়ার সেই অভিজ্ঞতা অনেকেই ভুলতে পারেন না। এসময় কেউ হরহামেশাই কোন না কোন ভুল করে থাকেন আবার কেউ বা ভুল না করলেও ভোগেন এক ধরণের মানসিক ভোগান্তিতে। আর যেহেতু বিমান অন্য সকল যানবাহন থেকে আলাদা তাই মেনে চলতে হয় অনেক ধরণের আদব-কায়দা।

আর তাই যাদের এখনো বিমানে চড়ার অভিজ্ঞতা হয়নি তাদের জন্য বেশ কিছু বিষয় জেনে রাখা একান্ত জরুরি। তবে বিমানে চড়া নিয়ে যদি কোন ধরণের ভীত অভিজ্ঞতা মনে থাকে তাহলে তা এখনই ঝেড়ে ফেলুন। প্রথমবার বিমানে চড়া আপনার খুব মজার এবং উপভোগ্য স্মৃতি হয়ে থাকতে পারে।

ছবিঃ সংগৃহীত

এজন্য অনুসরণ করুণ মাত্র কয়েকটি পদক্ষেপ-

১। সঠিক প্লান তৈরিঃ আপনি কোথায় বা কোন দেশে যাবেন তা আগে থেকে সিদ্ধান্ত নিন। এরপর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একটি সিডিউল তৈরি করুণ। সিডিউল মোতাবেক আপনার সেখানে যাওয়ার তারিখ, সময়, ঠিকানা, হোটেল বুকিং সংক্রান্ত তথ্য এবং ফিরে আসার তারিখ নির্ধারণ করুণ।

২। টিকিট বুকিং সংক্রান্তঃ বিমানে চড়ে কোথাও যেতে হলে সর্ব প্রথমে টিকিট বুক করতে হবে এবং চাইলে ফিরতি টিকিট অগ্রিম কেটে রাখতে হবে। আর এজন্য আপনার শিডিউল মিলিয়ে বিমানের এজেন্সি অনুযায়ী যোগাযোগ করে অথবা বিভিন্ন ওয়েব সাইট থেকে টিকিট বুক করতে হবে। আর সল্প খরচে টিকিট বুক করতে চাইলে বিভিন্ন ওয়েব সাইটে নিয়মিত খোজ রাখতে হবে। এতে করে বিমানের টিকিট খরচ অনেকাংশে কমে আসবে।

৩। ফ্লাইটের জন্য প্রস্ততিঃ যাওয়ার নির্ধারিত দিনে সঠিক সময়ের কমপক্ষে দুই ঘন্টা আগে এয়ারপোর্টে পৌঁছাতে হবে। সেই সাথে সকল ধরণের কাগজপত্র, পাসপোর্ট, ভিসা সংক্রান্ত কাগজ ইত্যাদি নিয়েছেন কিনা চেক করে নিন। বিমানে ভ্রমণের সময় কত কেজি পর্যন্ত লাগেজ বা ব্যাগ বহন করতে পারবেন তা জেনে নিন। মনে রাখবেন নির্ধারিত ওজনের অতিরিক্ত মালামাল বহন করার জন্য অতিরিক্ত ভাড়া গুণতে হবে। এয়ারপোর্টের ভেতরেই অতিরিক্ত ভাড়া পরিশোধের ব্যবস্থা আছে।

৪। চেক ইনঃ এয়ারপোর্টে ঢোকার পর চেক ইন করতে হবে। আপনার ফ্লাইট খুলে দেওয়ার পর চেক ইন করতে হবে। এসময় আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি চেক করা হবে এবং লাগেজ জমা নেওয়া হবে এবং আপনাকে বোর্ডিং পাস এবং লাগেজের জন্য টোকেন দেওয়া হবে।

৫। বোর্ডিংঃ চেক ইন করার পর ডিপার্চার লাউঞ্জ খুলে দেওয়া হবে। এসময় আপনার হাতে থাকা হ্যান্ড ব্যাগ, মানিব্যাগ, মোবাইল ফোন, জুতা, ল্যাপটপ ইত্যাদি স্ক্যান করা হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে আপনার ব্যাগে একটি স্ট্যাপ লাগিয়ে দেওয়া হবে। আর যদি সন্দেহ ভাজন কোন কিছু খেয়াল করে তারা তাহলে আপনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে। কিংবা আপনার ফ্লাইট বাতিলও করে দিতে পারে। সব কিছু ঠিক থাকলে আপনাকে প্লেনে প্রবেশ করার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

৬। ফ্লাইটের ভেতর প্রবেশঃ ফ্লাইটের ভেতর প্রবেশ করার পর আপনার সকল ঝামেলার কাজ শেষ। এখন আপনার টিকিটে নির্ধারিত সিট খুঁজে নিতে হবে। প্লেন টেকঅফ করার পূর্বে আপনার নিরাপত্তার জন্য কিছু সিগনাল দিবেন কেবিন ক্রু। তার পুরোটাই আপনাকে মেনে চলতে হবে। ফ্লাইট ছাড়ার পর নির্দিষ্ট উচ্চতায় উঠার পর আপনি সিট বেল্ট খুলতে পারবেন। এরপর আপনি ওয়াশরুম ব্যবহার কিংবা আপনার খাবার খেতে পারবেন। এছাড়া যাত্রাপথে আপনার যেকোন সমস্যার সম্মুখীন হলে কেবিন ক্রু-কে জানাবেন তারা আপনাকে সর্বোচ্চ সাহায্য করবে।

৭। ল্যান্ড করার মূহুর্তেঃ বিমান ল্যান্ড করার মূহুর্তে দেখতে পারবেন বিমান নিচের দিকে নামছে। এসময় কেবিন ক্রু আপনাকে সিট বেল্ট পড়ার জন্য অনুরোধ করবেন। এ সময় কোনভাবেই দাঁড়ানো যাবে না। বিমান ল্যান্ড করার পর গতি ক্রমশই কমে আসবে এবং আপনাকে টার্মিনালের দিকে নিয়ে যাবে। এরপর বিমান সম্পূর্ণ থেমে গেলে আপনাকে নামার জন্য অনুমতি দেওয়া হবে। এরপর আপনি নেমে আপনার গন্তব্যে চলে যাবেন।

এ পদক্ষেপগুলো মেনে চললে আশা করা যায় আপনি আপনার যাত্রা অনায়াশে আরামে শেষ করতে পারবেন। এছাড়াও কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে এয়ারপোর্টে দ্বায়িত্বরত ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করতে হবে। এয়ারপোর্টে যেকোন ধরণের তথ্যের জন্য তথ্যকেন্দ্র আছে। সেখানে আপনাকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেওয়া হবে।

 

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print