বগুড়ায় ‘বিশ্ব শকুন সচেতনতা দিবস-২০২২’ উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন তীরের শোভাযাত্রা ও পথসভা হয়েছে। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় দিবসটি পালিত হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে প্রতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম শনিবার পালিত হয় দিবসটি। মূলত বিলুপ্ত প্রায় শকুনের গুরুত্ব ও সংরক্ষণে সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিশ্বজুড়েই দিবসটি উদযাপন করে পরিবেশবাদী সংগঠনটিগুলো। তারই ধারাবহিকতায় তীরের আয়োজনে দিবসটি পালন করা হয়েছে।
পথসভায় ‘তীর’ উপদেষ্টা ও সরকারি আজিজুল হক কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, ‘বিশ্বজুড়ে শকুন বিলুপ্তির ধারা যত দ্রুত ঘটতে এমন উদাহরণ অন্য কোন প্রাণীর ক্ষেত্রে বিরল। বেশকিছু ভুল সিদ্ধান্তের কারণেই এই প্রাণীটি আজ বিলুপ্তির পথে। এই প্রাণীটিকে সংরক্ষণের জন্য সরকার ২০১০ সালে ব্যাথানাশক ডায়ক্লোফেনাক নিষিদ্ধ করেছিল। কিন্তু পার্শ্ববর্তী দেশগুলো সেই ক্ষতিকারক দিক বিবেচনায় ২০০৬ সালে নিষিদ্ধ করেছিল। আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই প্রাণীটিকে সংরক্ষণ করতে হবে।’
সংগঠনটির সভাপতি মোঃ রাকিবুল হাসান বলেন, আইইউসিএন ও বাংলাদেশ বন বিভাগের সাথে ‘তীর’-এর সদস্যরাও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে শকুন সংরক্ষণে কাজ করে যাচ্ছে। শীতকালীন সময়ে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় যাত্রাপথে শকুনের অসুস্থতা বা অসুস্থ শকুনকে উদ্ধার করে পরিচর্চা করে দিনাজপুরে ‘শকুন রেসকিউ সেন্টারে‘ পরিচর্চার জন্য আইইউসিএন-এ পাঠানো হয়।
জানা যায়, আশির দশকের আগেও গোটা বিশ্বে প্রায় ১৮ প্রজাতির শকুনের মধ্যে দেশে ৭টি প্রজাতির শকুনের অস্তিত্ব ছিলো। যার মধ্যে বাংলা শকুন, হিমালয়ী শকুন, রাজ শকুন বাংলার আকাশজুড়ে আধিপত্যের সাথে উড়ে বেড়াতো। তবে এরপর থেকে হঠাৎই কমতে থাকে শকুনের প্রজাতি। এতে নেতিবাচক প্রভাব পরে দেশীয় শকুনের উপরে।
এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশবাদী সংগঠনটির উপদেষ্টা জিয়াউর রহমান, মোঃ মোখলেছুর রহমান, মুস্তাফিজুর রহমান, মতিয়ার রহমান, বিবিসিএফ সভাপতি ড. এস.এম ইকবাল হোসেন, ফজলে রাব্বী ও তীরের তরুণ সদস্য, বাপা এবং অন্যান্য পরিবেশবাদী সংগঠনের সদস্যরা।
এনসিএন/এআইএ
