ডিসেম্বর ১, ২০২৫ ১০:৫১ পূর্বাহ্ণ

ডিমরে হালি ৪০ টাকা, মরিচের কেজি ২৫ টাকা

বেড়েছে ডিমের দাম, স্বস্তি কাঁচা মরিচে

আগামী এক মাস পর সু-সংবাদ মিলবে কাঁচা মরিচের বাজারে। ছবি: এনসিএন
আগামী এক মাস পর সু-সংবাদ মিলবে কাঁচা মরিচের বাজারে। ছবি: এনসিএন

গেল কয়েকদিনের ব্যবধানে বগুড়ার বাজারে ফের বেড়েছে ডিমের দাম। দু’দিন আগেও প্রতি হালি ডিম বিক্রি হয়েছে ৩৬ টাকা, আজ সেটি বিক্রি হচ্ছিল ৪০ টাকায়। তবে স্বস্তি ফিরেছে কাঁচা মরিচের বাজারে।

গেল আগস্টে পোল্ট্রি শিল্প মালিকদের কারসাজিতে ডিমের দাম উঠেছিল ৪৮। তবে জেলা প্রশাসনের নানা উদ্যোগে সে বাজার কিছুটা নিয়ন্ত্রনে ছিল। কিন্তু চলতি মাসে আবারও বাড়লো ডিমের দাম।

বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে বগুড়ার সদরের ফতেহ আলী বাজার ও রাজা বাজার সংলগ্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, যা আগে ছিল ৩৬ টাকা। এতে ১০০ পিস ডিমের দাম দাঁড়িয়েছে ১ হাজার টাকাতে। যদিও ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে তারা অভিযোগের তীর ছুড়েছেন কাজী ফার্মসের দিকে।

রাজাবাজার সংলগ্ন এলাকার ডিম ব্যবসায়ী রাসেল বলেন, ‘কাজী ফার্মস গতকালও ১০০ ডিমের দাম নির্ধারণ করেছিল ৯৫১ টাকা। আজ সেই ডিম কিনতে হয়েছে ৯৬৬ টাকায়। এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে লেবার ও পরিবহন খরচ। এরপর আমরা খুচরা পর্যায়ে ১ হাজার টাকায় একশো ডিম বিক্রি করছি। তাহলে আমাদের লাভটা হচ্ছে কোথায় বলেও এই প্রতিবেদকের কাছে প্রশ্ন ছোড়েন তিনি।

বগুড়ায় ফের বাড়লো ডিমের দাম

একই বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী সোহেল মিয়া জানালেন, ‘আজকের বাজারে সাদা ডিম কিনতে হয়েছে ৯৬০ টাকায়, বিক্রি করছি ১ হাজার টাকাতে। আমরা ক্রেতা পর্যায়ে ডিম বিক্রি করি। তাই আমাদের ডিমের দাম নিয়ে কিছুই করার নেই। তবে যারা এই পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে তারা ডিমের দর বাড়ানোর সঠিক কারণ বলতে পারবেন।

এদিকে স্থানীয় বাজারে কাঁচা মরিচের বাজারে স্বস্তি ফিরেছে। গেল কয়েকদিন আগেও যে মরিচ ২২০ টাকা কিনতে হয়েছে, মানভেদে সেটি আজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি। আমদানি, কম সময়ে নতুন হাইব্রিড মরিচের সরবরাহের কারণে বাজারে মরিচের দাম কমেছে। যদিও আগামী কয়েকিদের মধ্যেই এই পণ্যের বাজার দর বাড়ার সম্ভবনার কথাও জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

রাজা বাজারের আড়তে মানভেদে প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হচ্ছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকাতে। গতকাল (বুধবার) সান্তাহারের সাদা জাতের মরিচের দাম নেমেছিল ২০ টাকায়।

জানা যায়, মহাস্থান হাট থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা এক মণ কাঁচার মরিচ কিনছেন ১ হাজার টাকায়, যা শহরে এসে বিক্রি করছেন ১ হাজার ২ শ’ টাকাতে। রাজা বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী রায়হান বলেন, ‘আজ সকালে মহাস্থান হাট থেকে ৩ মণ মরিচ কিনেছি। কুষ্টিয়া অঞ্চলের ২৫ টাকা দরে প্রতি মণ মরিচ কিনতে হয়েছে ১ হাজার টাকা দিয়ে। সেই মরিচ ৩০ টাকাতে বিক্রি করছি।

তবে একই জাতের মরিচ একটু দূরেই ফতেহ আলী বাজারে মানভেদে ১ কেজি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়। এ বিষয়ে ওই বাজারের সবজি বিক্রেতা খোকন বলেন, রাজা বাজাও ও ফতেহ আলী বাজার পাশাপাশি হলেও এখানে পণ্যের দাম একটু বেশি হবেই। কেননা আমরা ওই বাজার থেকে পণ্য কিনে এই বাজারে বিক্রি করি। স্বাভাবিকভাবেই দাম কিছুটা বেড়ে যায় বলে জানান এই বিক্রেতা।

বর্তমানে মরিচের বাজার ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকলেও আগামীতে এই পণ্যের দাম বাড়তে পারে। কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘এখন আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় দেশের কয়েকটি জেলায় হাইব্রিড মরিচের চাষ হয়েছে। ইতোমধ্যে বাজারে চলে এসেছে। তবে অতিবৃষ্টি ও বন্যার দেখা দিলেই এই পণ্যের দাম বেড়ে যাবে।’

এনসিএন/এআইএ

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print