আগস্ট ১০, ২০২৫ ৪:১৫ পিএম

ব্রাজিল থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা কনটেইনারে পাওয়া গেছে তেজস্ক্রিয়তা

Oplus_16777216
Oplus_16777216

ব্রাজিল থেকে ৪ বন্দর ঘুরে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা এক কনটেইনারে পাওয়া গেছে তেজস্ক্রিয়তা। বন্দরে তেজস্ক্রিয়তা শনাক্তকরণ ব্যবস্থা ‘মেগাপোর্ট ইনিশিয়েটিভ রেডিয়েশন ডিটেকটিভ সিস্টেমে’ এটি শনাক্ত হয়। এরপরই কনটেইনারটির খালাস স্থগিত করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

‘মেগাপোর্ট ইনিশিয়েটিভ রেডিয়েশন ডিটেকটিভ সিস্টেম’ যন্ত্রে প্রাথমিক ও দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষায় কনটেইনারের অভ্যন্তরে ৩টি রেডিওনিউক্লাইড আইসোটোপের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই তিনটি হলো থোরিয়াম ২৩২, রেডিয়াম ২২৬ ও ইরিডিয়াম ১৯২।

চট্টগ্রাম কাস্টমস নথিতে দেখা যায়, রাজধানী ডেমরা‘র রড তৈরি কারখানা আল আকসা স্টিল মিলস লিমিটেড ব্রাজিল থেকে ৫ কনটেইনারে ১৩৫ টন স্ক্র্যাপ আমদানি করেছিল। তেজস্ক্রিয়তা সংকেত পাওয়া কনটেইনার এই পাঁচটির একটি। ৩ আগস্ট বন্দরের জিসিবি টার্মিনালের ৯ নম্বর জেটিতে ‘এমভি মাউন্ট ক্যামেরন’ জাহাজ থেকে কনটেইনারটি বন্দরে নামানো হয়। এরপর বুধবার বন্দরের ৪ নম্বর ফটক দিয়ে কনটেইনারটি খালাস নেওয়ার সময় তেজস্ক্রিয়তা থাকায় ‘মেগাপোর্ট ইনিশিয়েটিভ রেডিয়েশন ডিটেকটিভ সিস্টেম’ যন্ত্রে সংকেত বেজে ওঠে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম কাস্টমস যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ মারুফুর রহমান জানান, সতর্কসংকেত পাওয়ার পর কনটেইনারটি খালাস স্থগিত করে আলাদা স্থানে রাখা হয়েছে। পরমাণু শক্তি কমিশনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা সরেজমিনে এসে তেজস্ক্রিয়তা পরীক্ষা করবেন। এরপরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রথম তেজস্ক্রিয়তা শনাক্ত হয় ২০১৪ সালে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ভারতে রপ্তানি করার পথে ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল শ্রীলঙ্কার কলম্বো বন্দরে মরিচারোধী ইস্পাত টুকরার একটি কনটেইনারে তেজস্ক্রিয়তা শনাক্ত হয়। সেটি ফেরত আনা হয় চট্টগ্রাম বন্দরে। পদার্থটি থেকে ঘণ্টায় ১২ হাজার মাইক্রোসিয়েভার্টস বিকিরণ হয়।

যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশসহ ৪ দেশের বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে কনটেইনারটি থেকে ‘রেডিয়াম বেরিলিয়াম’ নামে তেজস্ক্রিয় পদার্থটি আলাদা করেন। প্রথমবার তেজস্ক্রিয় পদার্থ নিরাপদে উদ্ধার প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন পদার্থবিজ্ঞানী মাসুদ কামাল।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print